শনিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সম্প্রতি ৯৫ জনকে সহ-সম্পাদক করে আওয়ামী লীগের নতুন কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এই আলোচনার মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির কার্যালয়ের নতুন ভবনে জয়পুরহাট ও নাটোরের কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ওবায়দুল কাদের। বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কার্যলয়ের বাইরে ছাত্রলীগের এক-দেড়শ’ নেতাকর্মী উপ-কমিটি বাতিল দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। প্রায় আধঘণ্টা বিক্ষোভ-হইচই চলতে থাকে। এ সময় তারা অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে ছাত্রদল, শিবির করা লোকজনকে কমিটিতে নেওয়া হয়েছে।
এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বেরিয়ে এসে তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চান। তারা দাবি জানালে তিনি ওবায়দুল কাদেরকে অবহিত করেন। এর পর ওবায়দুল কাদের বিক্ষোভরত কয়েকজনকে ডেকে বিষয়টি শুনে কমিটি বাতিল এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন কমিটি দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
এরপর তিনি বেরিয়ে যাওয়ার সময় সমবেত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির কোনো সহ-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করিনি। আপনারা যে কমিটির কথা বলছেন, সেটা বাতিল করা হলো। কোনো অনুপ্রবেশকারী আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে স্থান পাবে না, উপ-কমিটিতে তো পাবেই না। আমরা দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নতুন কমিটিতে নেবো।
এ সময় উপ-কমিটিতে যাদের নাম ছিলো, তাদের সঙ্গে বিক্ষোভরত নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ও হইচইয়ের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যেই ওবায়দুল কাদের কার্যালয় ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
এসকে/ওএইচ/