এ ঘটনায় সভাপতির মা মনোজা খাতুন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৭টার দিকে উপজেলার বাটাইয়া ইউনিয়নের কাছারিরহাট-ওটারহাট সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ছাত্রলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিয়াদ জানান, সন্ধ্যায় তিনি তার মাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাটাইয়া ইউনিয়নের কাছারিরহাট তার নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফিরচ্ছিলেন। পথে ওটারহাট বাজার সংলগ্ন বাটাইয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন শাহিনের বাড়ড়ি এলাকায় পৌছুলে শাহীন ও তার সমর্থক ৬-৭ দুর্বৃত্ত তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন।
পরে তারা তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেন। এ সময় তার মা বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারীরা তাকেও পিটিয়ে জখম করেন। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুঁটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কবিরহাট ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি অভিযান করেন, জসিম উদ্দিন শাহিন কবিরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিল। কিন্তু দল থেকে তাকে নির্বাচিত না করায় তিনি এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাটাইয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন শাহিন বলেন, তিনি মঙ্গলবার সকালে তার বড় বোনের সঙ্গে তাদের বাড়ি দাগনভূঁইয়াতে আছেন। এ হামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তার প্রতিপক্ষের কোনো লোকজন রাজনৈতিকভাবে তাকে বিপাকে ফেলতে তার বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এই হামলার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জহিরুল ইসলাম রিয়াদকে কবিরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) র্মিজা মোহাম্মদ হাসান বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এএটি