প্রধানমন্ত্রীর খুলনায় আগমন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
মিজানুর রহমান বলেন, আশা করছি জনসভায় দশ লাখেরও বেশি লোক সমাগম হবে।
তিনি বলেন, এদিকে এ জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে খুলনা অঞ্চলে গ্যাস সংযোগ, খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা ক্যাডেট কলেজ, মেরিন একাডেমি, পূর্ণাঙ্গ আইটি ভিলেজ, শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে রিসার্স সেন্টার, খুলনা জেনারেল হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, খুলনা প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া হাউজসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এক সময় খুলনা মহানগরী ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত। আইন-শৃঙ্খলা বলতে কিছুই ছিলো না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে। ইতোমধ্যে খুলনায় দু’টি কলেজ ও তিনটি স্কুল সরকারিকরণ করা হয়েছে। আরো দু’টি নতুন সরকারি স্কুল স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। দু’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে, খুলনা মহানগরীতে সুপেয় পানি সরবরাহ করার জন্য ওয়াসার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে, বিমানবন্দরের কাজ চলছে, অচল হয়ে যাওয়া মোংলা বন্দর সচল হয়েছে, লোকসানি প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) হওয়ায় খুলনায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরে এসেছে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হয়ে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক চিত্র পাল্টে যাবে।
সংসদ সদস্য মিজান বলেন, এখনো খুলনায় পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহের জন্য দাবি জানাবো। প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের উন্নয়নে সবসময় আন্তরিক, এ অঞ্চলের মানুষও মনে করেন শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন হয়। আমরা আশাকরি যে প্রকল্পগুলো এখনও বাস্তবায়িত হয়নি প্রধানমন্ত্রী এবার সেই প্রকল্পগুলোও বাস্তবায়নের ঘোষণা দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/