বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের অতিথি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী হলেন- সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের কাওসার মিয়া।
মারধরকারীরা হলেন- হল শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক অভি (মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ), দফতর সম্পাদক এনায়েতসহ (পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ) বেশ কয়েকজন। অভি ও এনায়েত উভয়েই চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এরা সবাই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার সিদ্দিক শিশিমের অনুসারী।
হল ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, এফএইচ হলে সিট সংকটের কারণে হলের বিভিন্ন দেয়ালে সিট চেয়ে বিভিন্ন বাক্য লেখে গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় শিশিমের অনুসারীরা কাউসারকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে অতিথি কক্ষে নিয়ে আসে। কিন্তু কাউসার ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন।
এসময় ছাত্রলীগ নেতার তার কথা আমলে না নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে কাউসারের নাক দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। একই সঙ্গে সে কয়েক দফায় বমি করে। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে হলে নিয়ে আসা হয়। হলে আনার পর ফের বমি করলে তাকে আবারও হাসপাতালের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
আহত কাওসার বাংলানিউজকে বলেন, তাকে মাথায় ও নাকে আঘাত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার সিদ্দিক শিশিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘কাউকে মারধর করা হয় নি। যে ছেলের কথা বলা হয়েছে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। আমি হাসপাতালে গিয়ে নিজে দেখে এসেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৮
এসকেবি/জিপি