রোববার (১১ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবার রাজনীতিতে যে দুর্গন্ধ-দুর্বৃত্তায়ন ছড়িয়েছে, সেজন্য তাকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ উপাধি দিয়ে তা রোধ করা সম্ভব নয়। খালেদা জিয়ার গণতন্ত্রের নমুনা হচ্ছে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন। এ নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সংসদে বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছিলেন। ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে রাজনীতির নামে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। ’
ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব টেরর’ উপাধিও দিয়েছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র।
খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতির সঙ্গে মশকরা করেছেন মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি যেন কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন রাখার মতো। তেমনি দুর্নীতিবাজ নেত্রীকে নাম দেওয়া হলো ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’। আসলে তার নাম ‘মাদার অব থিফ’ হওয়া উচিত। তার দুই ছেলেই হচ্ছেন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এবং তাদের দুর্নীতি বিদেশেও প্রমাণিত। খালেদা জিয়া নিজেও দুর্নীতির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করেছিলেন। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের দলের কেউ উপাধি দেয়নি, এমনকি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও কোনো উপাধি দেননি। বিশ্ব গণমাধ্যম ও জাতিসংঘ এবং পৃথিবীর অন্যান্য অান্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন উপাধি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। ’
আয়োজক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, তাঁতী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাধনা দাস গুপ্তা, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জিন্নাত আলি খান জিন্নাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এইচএ/