রোববার (৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে যখন জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল, দিনের পর দিন মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? তখন আপনারা প্রেসক্লাবের সামনে আসেননি কেন? তখন আপনারা মানববন্ধন করেননি কেন? বিএনপি যখন তাদের গঠনতন্ত্রের সাত ধারা বাতিল করেছিল, তখন আপনারা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেননি কেন? আসলে আপনারা দেশে আগুন জ্বালাতে চান এবং আগুন জ্বালাতে যারা ব্যর্থ হচ্ছে আপনারা তাদের সাহায্য করতে চান।
বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের সাত ধারা বাতিলের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ ও উন্মাদদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বিএনপির বাতিল করে দেওয়া সাত ধারায় ছিল কোনো ব্যক্তি দুর্নীতির দায়ে শাস্তি প্রাপ্ত হলে এবং কেউ যদি উন্মাদ হয়, তবে বিএনপির নেতৃত্বে থাকতে পারবেন না। প্রকৃতপক্ষে এখন বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের সাত ধারা বাদ দেওয়ার মাধ্যমে দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্তদের যেমন নেতৃত্বে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে, তেমনি উন্মাদ ব্যক্তিদেরও নেতৃত্বে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। অর্থাৎ বিএনপি এখন দুর্নীতিবাজ এবং উন্মাদদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে।
জনগণকে অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কাউকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। যারা পরিচয় গোপন করে সাধারণ নাগরিকের ব্যানারে দাঁড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, যারা জামায়াত-শিবিরের পরিচয় গোপন করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় এবং তাদের সহযোগী হিসেবে যারা আবির্ভূত হয়, তাদের প্রতিহত করতে হবে।
বিএনপির উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাত ধারা বাতিল করে এখন আপনাদের দল দুর্নীতিবাজ আর উন্মাদদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। আপনারা দয়া করে এই তকমা থেকে বেরিয়ে আসুন, আর কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ভর করে পরগাছার মতো টিকে থাকার চেষ্টা করেও কোনো লাভ হবে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ওমর বিন আবদাল আজিজের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এইচএ/