সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ১৯ জন আসামির মধ্যে ১৫ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. জাহিদ হোসেন তাদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- সাদ্দাম বেপারী, ইউসুফ, কাওসার ও ইমামসহ ১৫ জন আসামি আদালতে হাজির হন। তারা তালতলী ও বরগুনার স্থানীয় বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী এস এম মশিউর রহমান শিহাব ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে তালতলী উপজেলায় গণসংযোগ করতে যান। তালতলী বাজারে জনৈক মহারাজের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা করতে ছিলেন তিনি।
এসময় একদল তরুণ তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে তরুণরা ওই নেতার গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাৎক্ষণিক ওই নেতা বাদী হয়ে তালতলী থানায় অজ্ঞাত আসামি দিয়ে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৩১ মার্চ মামলার কোনো সত্যতা না পেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দেন। পরে বাদী ২৮ জুন আবার বিচারিক আদালতে নারাজি দিলে বিচারক আমতলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আমতলীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ূন কবির ২৪ জুলাই মামলার ঘটনা সত্য মর্মে ১৯ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করলে সব আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান শিহাব বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বরগুনা-১ আসন (বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী) থেকে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করার জন্য গণসংযোগ করি। ওই তরুণরা আমাকে বলে গণসংযোগ করতে হলে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা দিতে না পারায় আমার গাড়িটি ভাঙচুর করে তারা। ’
আসামি সাদ্দাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটি একটি মিথ্যা মামলা। বাদী প্রথম যখন মামলা করেন তখন সেই মামলায় আমাদের নাম ছিল না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
জিপি