তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে প্রয়োজনে মুক্তমঞ্চ করে দেওয়ার কথাও বলেছেন।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরে শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এতো মাথা ব্যথা, এতো হইচই করার দরকার নেই। আমি পুলিশের আইজির সঙ্গে কথা বলেছি, তারা সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। চিৎকার-চেঁচামেচি না করে ধৈর্য ধরে বিএনপি নেতাদের অপেক্ষা করতে বলবো। এটা নিয়ে অন্য বিষয়ের মতো যেন নাটক না করা হয়। পুলিশ প্রস্তুতি নিচ্ছে, পেয়ে যাবেন অনুমতিপত্র। অহেতুক এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না।
তিনি বলেন, অনুমতি তারা পাবে, অনুমতির প্রস্তুতি চলছে ,পুলিশ আমাকে জানিয়েছে। পরে নাটক যেন না করে। গত ১০ বছরে তারা ১০ মিনিটও রাস্তায় নামতে পারে নাই। আপনাদের দাবির এতো জোর, ৫০০ লোকের মিছিল দেখি নাই। আন্দোলনের ডাক দিয়ে পুলিশের গতিবিধি কড়া না নরম এ খবর নিতে যায়। এরাই হচ্ছে নেতা, এরা আবার আন্দোলন করবে। আন্দোলনের মরাগাঙ্গে ১০ বছরে ঢেউ আসেনি এখন এক মাসে কি করে আসবে। এখন কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য আন্দোলনের নামে চিৎকার-চেঁচামেচি করছে।
এ সময় সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার অনুরোধ যা দেখবেন, যা শুনবেন, তাই লিখবেন। কেন বলছি, শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১৪ দলের সমন্বয়ক আমাকে বলেছেন, তারা কর্মী সমাবেশ করছেন। কিন্তু আপনারা একে সমাবেশ বলছেন কেন? সমাবেশ বানিয়ে বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি তো আমরা করবো না। পাল্টাপাল্টি করলে আমরা নাট্যমঞ্চে করবো? এটা সমাবেশ নয়, এটা হচ্ছে কর্মী সমাবেশ। এ বিষয়গুলো বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এসকে/আরবি/