মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি বাজার থেকে বিক্ষোভ-মিছিলটি বের করা হয়। এসময় দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফকির শহিদুল ইসলামসহ তার সহযোগীদের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দেয় মিছিলে অংশ গ্রহণকারীরা।
জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি ও ধারালো অস্ত্রসহ আলমত জব্দ করেছে। ঘটনাস্থল দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদসহ আশপাশ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (দুপুর ১টা) এদিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- দৈবজ্ঞহাটি ইউপি চেয়ারম্যান ফকির শহিদুল ইসলাম, একই এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে দফাদার আবুয়াল হোসেন ফকির, হাতেম আলীর ছেলে আবুল শেখ এবং করিম ডাকুয়ার ছেলে জুলহাস ডাকুয়া।
তাদের ডিবি কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনার ২০ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) পঙ্কজ চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে। আটক চেয়ারম্যানের লাইসেন্স করা একটি শটগান ও তিটি কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া চেয়ারম্যানের হেফাজতে থাকা একটি দেশি রিভলবার এবং দুই রাউন্ড গুলি, একটি দেশি ওয়ান শুটারগান, তিন রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ এবং একটি কুড়াল জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার (১ অক্টোবর) বিকেলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদার (৫৩) এবং যুবলীগ নেতা শুকুর আলী (৪৮) নিহত হন। এ ঘটনায় আরও দুই জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮
জিপি