মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) রাতভর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সড়াতলা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মনছুর রহমান (৪০), একই গ্রামের গগন উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন (৬৫), হাজী ওয়াহাব আলীর ছেলে রেজাউল (৪৫), দারোগ প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল লতিফ (২৮), হাজী হাজরত
আলীর ছেলে বাবলু (৪০), ইয়াকুব আলীর ছেলে ইউসুব আলী (২৮), কয়ড়া খামারবাড়ির জব্বার ফকিরের ছেলে মঞ্জু হোসেন (২৮), ভেংড়ী গ্রামের ছবুর আকন্দের ছেলে শাহিন আলম (২৫), হাজী মোজদার আলীর ছেলে শাহাদত (৩৮), মোন্নাফ আলীর ছেলে রবিউল করিম (২২), হাজী জাল মাহমুদের ছেলে রেজাউল করিম (৪০) ও জহুরুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন (২০)।
এ নিয়ে গত দুইদিনে এ মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যতম পলাতক আসামি জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদ ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম খোকাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কওশিক আহম্মেদ বুধবার (৩ অক্টোবর) সকালে বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার রাতভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরো ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদ ও সাইফুল ইসলাম খোকাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কয়ড়া চরপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে নাশকতা মামলায় উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলাউদ্দিন আল আজাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে হাতকড়া পড়িয়ে থানায় আনার পথে স্থানীয়
আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম খোকার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা হাতকড়াসহ তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই রাতেই এসআই রিপন
কুমার সাহা বাদী হয়ে ৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
আরএ