এতে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন। আহতদের মধ্যে ঢাকার তিতুমীর কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র মিরাজ ঘরামীর ডান হাতের কব্জি ও বাম পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের মধ্যরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবির ওই এলাকার নূরু মৃধার ছেলে। তার কোনো রাজনৈতিক পদ নেই। তবে, তার ভাই কবির মৃধা নয় নস্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ভাদুরী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরেই বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সুমন এবং ইউপি সদস্য আকতার শিকদারের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় মিরাজ বেপারি নামে সুমন গ্রুপের একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মধ্যরচর গ্রামে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই বাঁশগাড়ি ইউপির নয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খবির মারা যান। তিনি আকতার গ্রুপের লোক।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, নিজেই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে খবিরের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে চেয়ারম্যান সমর্থিত তিতুমীর কলেজের ছাত্র মিরাজের বাম পায়ের গোড়ালি ও ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল ফোনে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বাংলানিউজকে বলেন, আমি আমার ইউনিয়নের অবহেলিত মানুষের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু ইউপি সদস্য আকতার ও খবির বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন সময়ে আমি এর প্রতিবাদও করেছি। এ নিয়েই তাদের সঙ্গে আমার বিরোধ। তবে, দুপুরের ঘটনায় আমার কোনো লোকজন জড়িত নন। তাছাড়া আমি এখন ব্যবসার কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি।
তিনি আরো বলেন, খবির এলাকার বাইরে থেকে লোক এনে বিভিন্ন জায়গায় লুটতরাজ করতেন। স্থানীয় বিবাদেই এ ঘটনা ঘটেছে। এটাকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বলা যাবে না।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৮
এসআই