শুক্রবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর গাবতলীতে আওয়ামী লীগের গণসংযোগ কর্মসূচিতে বক্তৃতাকালে কাদের এ কথা বলেন। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এই গণসংযোগের অায়োজন করে মিরপুর, দারুসসালাম ও শাহঅালী থানা অাওয়ামী লীগ।
সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার হাত ধরে এমন উন্নয়ন বাংলাদেশ ১০০ বছরেও দেখেনি। ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে।
এসময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৫ কোটি মোবাইল কে দিয়েছে? শেখ হাসিনা নাকি খালেদা জিয়া? তখন গণসংযোগে উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে ‘শেখ হাসিনা দিয়েছেন’ বলে উত্তর দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে এতো অালো ও উন্নয়ন বিএনপি দেখে না। তারা অন্ধকারে ষড়যন্ত্র খোঁজে।
বিএনপির ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৪ সালের মতো বোমা সন্ত্রাস করার জন্য বিএনপি ছক অাঁকছে। তবে এটা ২০১৪ সাল নয়, ২০১৮ সাল, এমন ছক প্রতিহত করা হবে। বিএনপি যদি ক্ষমতায় অাসে দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। একদিনেই সারাদেশে লাশের পাহাড় দেখা যাবে।
কারাবন্দি দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে অাওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও বিশেষায়িত হাসপাতাল। অথচ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে।
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ যেন ভোটের বাক্স ভর্তি না করতে পারে, কারচুপি না করতে পারে, সেজন্যই ইভিএম চাইছি। সীমিত অাকারে ইভিএম ব্যবহারের জন্য অামরা ইসিতে অাবেদন করেছি।
বিদ্রোহবাদীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে অাওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অাওয়ামী লীগে কেউ বিদ্রোহ করলে খবর অাছে। বিদ্রোহ করলেই বহিষ্কার। (নির্বাচনে) একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। সবাইকে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। দলের কারোর বিরুদ্ধে গীবত করা যাবে না। অামাদের বিরোধী বিএনপি, অাওয়ামী লীগ নয়। মশারির মধ্যে মশারি খাটানো চলবে না।
এসময় অারও উপস্থিত ছিলেন অাওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অা ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্থানীয় সংসদ সদস্য অাসলামুল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৮
এমঅাইএস/এইচএ/
** অক্টোবরের শেষ দিকেই নির্বাচনকালীন সরকার