রোববার (৭ অক্টোবর) দুপুুরে আরিফসহ ১০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শহরে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এমন বক্তব্য উপস্থাপন করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
এই মামলায় জামিন নেওয়া ৭ নেতাকর্মী মিছিল ও সমাবেশের অগ্রভাগেই ছিলেন।
মিছিলের ব্যানারের জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, সহ সভাপতি আমিনুল হক শামীম ও পৌর মেয়র ইকরামুল হক টিটু’র ছবি রয়েছে।
মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাইফেলস ক্লাবের অফিস সহকারী সুবলের একটি অডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে সুবল নিজেই বলছেন, বুধবার (৩ অক্টোবর) কোনো হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। এরপরেও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফসহ ১০ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সমাবেশে শহর ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন রানা ও রুবেল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা আরিফ ‘ব্লেমগেমের রাজনীতি’র শিকার হয়েছেন।
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় এই নেতাকে ‘পদ’ থেকে মাইনাস করার মিশনে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ এতোদিন সফল না হতে না পারলেও এই যাত্রায় কৃতিত্বের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। নির্বাচনের আগে এমন সিদ্ধান্তে দলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই সিদ্ধান্তে ইতোমধ্যেই হতাশ হয়ে পড়েছে দলটির হাজারো নেতাকর্মী।
আলোচিত এই মামলার বিষয়ে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল মহড়া করে হামলা হয়েছে। মানুষজন দেখেছে। আমি মিথ্যা বলছি না।
ছাত্রলীগ নেতা আরিফ আমার সন্তানের মতো। কিন্তু তার সিনিয়র নেতারা সেদিন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য কোনো ভূমিকা নেয়নি। ফলে আমি মামলা করেছি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শহর ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন আরিফ বলেন, হামলার অভিযোগ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যমূলক। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবার আসনে আছেন। আর ছাত্রলীগ পুত্র সমান। কোনো অবস্থাতেই ছাত্রলীগ মহানগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেয়াদবি করেনি।
আরিফকে সমর্থন করে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, মহানগর আ’লীগের সভাপতির বাসা বা ক্লাবে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা আমি শুনিনি। আমি জানি সেদিন কেবলমাত্র মোটরসাইকেল শোডাউন হয়েছিল। কিন্তু এখন অন্য কিছু বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৮
এমএএএম/এএটি