শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সকালে বরিশাল নদীবন্দর টার্মিনালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আঞ্চলিক কার্যালয়ে কাম বাণিজ্যিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে ক্ষিপ্ত হয়ে দেশে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে নৌমন্ত্রী বলেন, দেশের খাদ্য ঘাটতি নেই। দেশে বর্তমানে দেশে ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ১শ’ বছরের ডেল্টা প্রকল্প প্রণয়ন করেছেন। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও কৃষকদের সার বিতরণ, বিভিন্ন ভাতা দিচ্ছেন।
নৌমন্ত্রী আরো বলেন, বরিশালে ইতোমধ্যে পাইলট বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছে। টার্মিনালের সৌন্দর্য বাড়াতে বনায়ন করা হয়েছে। বরিশাল নৌবন্দরের উত্তর পাশে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মফিজুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ, বিআইডব্লিউটিএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন এবং নৌ পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন প্রমুখ।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক সাহাদাত হোসেন।
এর আগে ফিতা কেটে ভবনটির উদ্বোধন করেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
শাজাহান খান বলেন, বরিশাল নদীবন্দর থেকে একদিকে স্টিমার ঘাট ও অপরদিকে পোর্ট রোড মৎস্য বন্দরের আগ পর্যন্ত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও এখানে বহুতল ভবন ও শপিংমল নির্মাণ করা হবে। আর আগামী ছয়মাসের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে পারে আশাব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বরিশাল নদীবন্দর টার্মিনালের সামনে প্রায় ১৪ শতাংশ জমির উপর ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ৪৭০ টাকা ব্যয়ে ছয়তলা বিশিষ্ট এই বাণিজ্যিক ভবনটি নির্মাণ করা হয়। দুই থেকে ছয়তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক স্পেস রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নিচ তলায় ১৩টি বাণিজ্যিক দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ছয়তলার দক্ষিণ অংশে বিআইডব্লিউটিসির রেস্ট হাউজ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
এমএস/এএটি