ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

জোটের সঙ্গে সমঝোতার পর দলীয় প্রার্থী ঘোষণা আ’লীগের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
জোটের সঙ্গে সমঝোতার পর দলীয় প্রার্থী ঘোষণা আ’লীগের আওয়ামী লীগ

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের সঙ্গে আসন সমঝোতা  চূড়ান্ত হওয়ার পর দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। দল ও জোটের একক প্রার্থী নিশ্চিত করতেই এ কৌশল নিয়েছে দলটি।

আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে ও সমঝোতার মাধ্যমে আসন ভাগাভাগি করে- এই দু’ভাবেই অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে আওয়ামী লীগ। ১৪ দলে সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা হবে।

আর জাতীয় পার্টিসহ আরও দু’একটি দল ও জোটের সঙ্গে আসন সমঝোতা হতে পারে।

তবে বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে আসা না আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই আসন সমঝোতা করে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করবে।  

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। তবে জোট শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা বা আসন ভাগাভাগির মাধ্যমে কোন দলকে কয়টি ও কোন কোন আসন ছাড়া হবে সেটা চূড়ান্ত করার পর দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দেওয়া হবে। প্রার্থী চূড়ান্ত করার পর আসন সমঝোতার জন্য শরিকদের সঙ্গে বসা হবে। এর আগে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হলে শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়া কঠিন হবে। এই জটিলতা এড়াতেই এ ধরনের কৌশল নেওয়া হয়েছে।  

আওয়ামী লীগের ওই নেতারা আরও জানান, ৭০ থেকে ৮০টি আসনে সমঝোতার মাধ্যমে শরিকদের ছাড় দেওয়া হতে পারে। তবে এসব কিছু নির্ভর করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপির গতিবিধি ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার উপর।     

বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগ নিজস্ব জোট ১৪ দলের সঙ্গে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে। এই দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে আসন ভাগাভাগি করা হবে এবং ৩০০ আসনেই আওয়ামী লীগ ও জোটের একক প্রার্থী নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গেও আসন সমঝোতা হতে পারে। এই জোটকেও একাধিক আসন ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

গত ৫ নভেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংলাপেও এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্র জানায়, এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে। তখন সমঝোতার মাধ্যমে আসন ছাড় দেওয়া হবে। আর যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে তাহলে জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে এবং ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে।

তবে বিএনপি নির্বাচনে না এলেও ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে। আসন সমঝোতার মাধ্যমে ১৪ দলের শরিকদের কিছু আসনে ছাড় দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।  

সূত্র আরও জানায়, গত ৪ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের সভায় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় ১৪ দলের নেতারা আসন ভাগাভাগির বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর ছেড়ে দিয়েছেন।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আগামী ১১ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা আহ্বান করা হয়েছে। সংসদীয় বোর্ডের এ সভা ধারাবাহিকভাবে চলবে। ইতোমধ্যেই শুক্রবার (৯ নভেম্বর) থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। দলীয় মনোনয়নের জন্য যারা আবেদন করবেন তাদের মধ্য থেকে  সংসদীয় বোর্ড প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ