ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

কিসের লোভে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন, ড. কামালকে হানিফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
কিসের লোভে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন, ড. কামালকে হানিফ

ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা কে, বা তারা ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করেও প্রশ্ন ছুড়েছেন, ‘কিসের লোভে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন?’

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘সমসাময়িক বিষয় নিয়ে’ স্বপ্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে হানিফ এ প্রশ্নগুলো ছুড়ে দেন।

হানিফ বলেন, ড. কামালের নেতৃত্বে যে ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে তাদের নেতা কে? লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী? তা কেউ জানে না।

যদি জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হন তাহলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? জনগণকে তারা তা জানায়নি। সাংবাদিকরাও এ প্রশ্ন করেছিলেন। উত্তরে তারা এড়িয়ে গিয়ে বলেছেন, নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাই ঠিক করবেন- কে হবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু জনগণ এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়।  

ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার কারণ ধীরে ধীরে সবাই বুঝতে শুরু করেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আমরা চাই আসন্ন নির্বাচনে জনগণ তাদের ইচ্ছামতো ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে। যে কারণে চলছে উৎসবমুখর পরিবেশ। আর তাই শুরু হয়েছে দল ভাঙা গড়ার সময়। ছোট ছোট দলগুলো বড় বড় দলের অন্তর্গত থেকে নির্বাচন করতে চায়, জনগণের সেবা করতে। এটা দোষের কিছু নয়, বরং স্বাভাবিক। কিন্তু অস্বাভাবিক হয় তখন, যখন একটি জোট গঠনের লক্ষ্য জনগণের কাছে ঘোলাটে থাকে। তাদের পরিকল্পনা বা পথ চলার লক্ষ্য অস্পষ্ট থাকলে জনগণ তাদেরকে নিয়ে বিভ্রান্ত হয়। দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে তেমনই একটা জোট তৈরি হয়েছে। যাদের মূল দল বিএনপি। আর তারা ড. কামালের মাধ্যমে পরিচালিত।

হানিফ বলেন, প্রতিটি সেক্টরে বর্তমান সরকার ব্যপক সফলতা দেখিয়ে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান বা আমাদের শত্রুরা পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নতির পক্ষে অকাট্য স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আর দেশের ঠিক এমন সময়ে উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করতে ঐক্যফ্রন্ট গঠন হয়েছে। ড. কামাল হোসেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে জোট করেছে। (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন) তারেক রহমান বলেছিলেন, বিএনপি-জামায়াত একই মায়ের পেটের ভাই। আর তাদের সঙ্গে জোট করে মিথ্যাচার করছেন ড. কামাল। আপনি (ড. কামাল) কিসের লোভে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন? আমরা আপনাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু জনগণের বিরুদ্ধে কৌশলী হলে সেটা কেউ বরদাশত করবে না।

দেশের বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।

স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ, অধ্যাপক মোস্তফা কামাল খান, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।  

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকজনদের দেশের উন্নতি পছন্দ হয় না। আবার ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা কেউ নির্বাচন করে বিজয়ী হতে পারেননি। ড. কামাল বঙ্গবন্ধুর দয়ায় অনির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একজন শিক্ষিত মানুষ। দেশ কিভাবে উন্নত হবে সেটা তিনি ভালোভাবে বোঝেন। এ কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৭টি উপাধি বা সম্মাননা ও ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন। ওদিকে (বিএনপি প্রধান) খালেদা জিয়া ‘আন্ডারমেট্রিক’। দেশের ভালোও বোঝেন না। তাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে আবার ক্ষমতায় এনে বাংলাদেশ আগামী ৫ বছরের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এমএএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ