বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এতে মানিকগঞ্জ-১ ও ২ আসনে নৌকার প্রার্থী নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও মমতাজ বেগমকে পরিচয় করিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। শুধু সন্ত্রাস, দুর্নীতি আর লুটপাট হয়েছে। বিদেশ থেকে এতিমের জন্য টাকা এনে খালেদা জিয়া লুটে খেয়েছেন। সেই লুটপাটের কারণে আজ তিনি কারাগারে। খালেদা জিয়ার এই দুর্নীতির মামলা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। মামলা আমাদের সরকারও দেয়নি।
বিগত নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা চালিয়েছিল অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল তারা। পাঁচশ’র মতো মানুষ তারা পুড়িয়ে হত্যা করেছে। কোনো সুস্থ মানুষ এভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে, এটা আমার জানা নেই। মানুষ পুড়িয়ে মারা, সন্ত্রাস, ভাঙচুর, আর ধ্বংস ছাড়া তারা আর কিছুই করেনি।
শেখ হাসিনা তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না। সবার ঘরে ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবো। মানিকগঞ্জে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দেবো। পদ্মাসেতুর কাজ চলছে। ওই পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় পদ্মাসেতু করে দেবো, যেন আপনাদের যাতায়াতে সুবিধা হয়।
‘আমরা সারাদেশে উন্নয়ন করেছি, উন্নয়ন করে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা আপনাদের কাছে কী চাই, আমরা চাই নৌকা মার্কায় ভোট। এই নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে না। সুতরাং বিগত সময়ের মতো আপনারা নৌকায় ভোট দিন। ’
আসন্ন নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মমতাজ বেগমকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানিকগঞ্জে অনেক মানিক আছে, আমরা এ দু’জনকে বেছে নিয়েছি। আপনারা তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন।
এর আগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, কোমরপুর ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় তিনটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকা আসার পথে এসব সভায় যোগ দেন তিনি। এসময় রাস্তার দু’পাশে হাজারো মানুষ হাত নেড়ে স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান। নগরকান্দায় গাড়ি থেকে নেমে হাত নেড়ে জনতার অভিবাদন গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
এসকে/এইচএ/
** আবার ক্ষমতায় এলে দ্বিতীয় পদ্মাসেতু