শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এখন জামায়াত ও স্বাধীনতা বিরোধীদের প্লাটফর্ম পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে নানক বলেন, বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিজেদেরমধ্যে কোন্দল থেকে হামলা-বিশৃঙ্খলা করছে এবং সেটা সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আসলে তারা (বিএনপি-জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) নির্বাচনের ভরাডুবি হবে বুঝতে পেরে সমগ্র নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা চেষ্ট করছে। বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফন্টের প্রতি আমাদের আহ্বান বিশৃঙ্খলা, মিথ্যাচার না করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যকমিশনকে সহায়তা করুন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, তথ্যগবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর করিব নানক আরও বলেন, গতকাল ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে কি ধরনের অশোভন ও ক্ষুব্ধআচরণ করেছেন, হুমকি-ধমকি দিয়েছেন এটা সবাই জানেন। এ ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মূল্যহীন 'মাকালফলে' পরিণত হওয়া আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, কাজী জাফর উল্লাহরা আবারও মিলিত হয়েছেন। ড. কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্ট পরগাছাদের সম্মিলিত এক প্লাটফর্ম। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ আগামী জাতীয়সংসদ নির্বাচনে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
নানক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ড.কামালের ভূমিকা সব সময় প্রশ্নবিদ্ধ। কামাল হোসেনকে কখনোই জাতির সংকট মুহূর্তে পাওয়া যায় না। ৭১'এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এবং ১৯৭৫ সালে ড. কামাল হোসেনের রহস্যাবৃত ভূমিকার কথা জাতির অজানা নয়। জাতির ক্রান্তিলগ্নে কখনো তাকে পাওয়া যায়নি। বরং বিভিন্ন সময় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। ঐক্যফ্রন্ট গঠন এবং ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতারই অংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
এসকে/এসএইচ