বুধবার (২০ ডিসেম্বর) গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের সোতাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে নির্বাচনী কার্যালয়ের বেড়া, পোস্টার, প্যানা ও বেশকিছু প্লাস্টিকের চেয়ার পুড়ে গেছে।
বারুইপাড়া ইউনিয়নের কাটাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব শেখ আবুল খায়ের বাংলানিউজকে জানান, ‘নির্বাচন পরিচালনার জন্য সোতাল গ্রামে একটি অস্থায়ী কার্যালয় থেকে বারুইপাড়া ইউনিয়নের কিছু অংশের নির্বাচন পরিচালিত হচ্ছিল। বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে আমরা নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শেষ করে কার্যালয় থেকে সবাই বাড়িতে যাই। পরে জামায়াত-বিএনপির সমর্থকরা আমাদের নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আগুন দেখতে পেয়ে ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভায়। ’
‘আগুনে কার্যালয়ের ভেতরে থাকা বেড়াসহ পোস্টার, প্যানা ও বেশকিছু প্লাস্টিকের চেয়ার পুড়ে গেছে’ বলেও জানান তিনি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) পংকজ চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর আসনের প্রার্থী এম এ সালাম বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুনের ঘটনায় আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মী সম্পৃক্ত নেই। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে পুলিশের কাছে দাবি জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় দুপুরের দিকে বারুইপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কমলেশ ভট্টাচার্য্য বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াতের ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন করেছেন বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
জিপি