শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সাঁথিয়া উপজেলার গৌড়িগ্রাম মাদ্রাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় সেখানে অবস্থানকালে তার মৃত্যু হয়। তিনি গৌড়িগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গৌড়িগ্রাম দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুক্রবার বিকেলে গৌড়িগ্রাম মাদ্রাসা মাঠে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের নির্বাচনী জনসভা হওয়ার কথা ছিল। বিকেল ৪টার দিকে আবু সাইয়িদ জনসভাস্থলে আসার আগেই স্থানীয় দু’পক্ষরে মধ্যে চরম উত্তজেনা বিরাজ করে ও সংর্ঘষ হয়। পরে আবু সাইয়িদ জনসভাস্থলে গেলে বিবদমান দু’টি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আবু সাইয়িদ সভা না করেই সেখান থেকে চলে যান। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা তোফাজ্জল হোসনে নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়।
এদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, আমার নির্বাচনী জনসভা ছিল গৌড়িগ্রামে। সখোনে পৌঁছানোর পরপরই সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ি লক্ষ্য করে বেশ কয়কেটি বোমা নিক্ষেপ করে। এসময় বোমা নিক্ষেপকারীদের একজন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। অথচ আমার প্রতিপক্ষের লোকজন এ নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। বলছেন, আমার গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনি মারা গেছেন। এটি মোটেই সত্য নয়। মিথ্যা দিয়ে কখনো সত্যকে ধামাচাপা দেওয়া যাবে না।
গাড়িতে হামলার ব্যাপারে ওসি বলেন, ঘটনা সময় আবু সাইয়িদের গাড়িতে হামলা বা ভাঙচুর করার কথাটি সঠিক নয়। ঘটনার সময় পুলিশ সেখানেই ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
এসআই