নির্বাচন ভবনে শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সভা শেষে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্য উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন।
সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ভুয়া খবর প্রচারের জন্য বাংলাদেশে তাদের প্ল্যাটফর্মে ছয়টি একাউন্ট এবং নয়টি পেজ বন্ধ করে দিয়েছে।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ফেসবুক নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হয়েছে। এ ষড়যন্ত্রের, অপপ্রচারের, মিথ্যাচারের বড় ভিকটিম হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও আমাদের নেতাকর্মীরা। আমরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে কারো চরিত্র হরণ করিনি এবং করার পরিকল্পনাও নেই। কারো বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা বা অপপ্রচারও আমরা করিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি, বিভিন্ন সময় সাধারণ ছাত্রদের যেসব আন্দোলন হয়েছিল, যেমন কোটা সংস্কার, নিরাপদ সড়ক। এ সময় ফেসবুককে গুজবের একটি ফ্যাক্টরি (কারখানা) হিসেবে বানিয়ে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রপাগাণ্ডা করা হয়েছে। এমন গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসে সাতজন ছাত্রীকে নির্যাতন করে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্বয়ং বিএনপি মহাসচিব মির্জা খফরুল সাহেব এ অভিযোগ প্রেস কনফারেন্সে করেছিলেন। দেখা যাচ্ছে, ফেসবুকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুজব, অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের টার্গেট হচ্ছে আওয়ামী লীগ, এর নেতাকর্মীরা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। ফেসবুক এখন কাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে, কীভাবে বন্ধ করেছে, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো ধারণা নেই। এটি ফেসবুকের বিষয়। আমরা কয়েকদিন আগে দেখেছি, ফেসবুকের ছয় কোটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। তার জন্য ফেসবুকের যিনি প্রধান তিনি পাবলিকলি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
এখন ফেসবুকের ডাটা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আপনারা দেখেছেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ফেসবুকের বিরুদ্ধে একটি রেজ্যুলেশনও হয়েছে। এবং তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে, যোগ করেন বিপ্লব বড়ুয়া।
তিনি বলেন, এখন ফেসবুক কার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে, কীভাবে করেছে, এ বিষয়ে আমাদের ধারণা নেই। এখানে আমাদের যে সাংবাদিক বন্ধুটি প্রশ্ন করেছেন, ফেসবুক থেকে সরকারের পক্ষে কিংবা কারো বিপক্ষে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হচ্ছিল, সেটা সঠিক নয়। আসলে এ অ্যাকাউন্টটি কার এবং কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে…। আমরা দেখেছি, এক ব্যক্তি অনেক অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে রয়েছে এবং অনেক ফেইক (ভুয়া) অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যেমন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, শতাধিক অ্যাকাউন্ট ওনার নামে রয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে যদি কোনো মন্তব্য যায়, কোনো তথ্যচিত্র যায়, কোনো ছবি যদি যায়, সেটার সঙ্গে তো তার কোনো যোগসূত্র নেই। এমন কি আমাকে নিয়েও এ ধরনের ফেইক অ্যাকাউন্ট ছিল। আমি সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করেছি, পরে এগুলো বন্ধ হয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমান, রিয়াজুল করিম কাউসার, নজিবুল্লা হিরু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
ইইউডি/এসআই