আব্দুর রহমান বলেন, আজ বিএনপি-জামায়াত পরাজিত পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র প্রেসক্রিপশনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। কিছুদিন আগেও আপনারা দেখেছেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ড. জাফরুল্লাহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধানকে নিয়ে কিভাবে নির্লজ্জ, মিথ্যাচার, অপপ্রচার করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আব্দুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্টের মিথ্যাচারের ভয়াবহতা এতই প্রকট হয়ে উঠেছে যে, তাদের মনগড়া, বিকৃত, বাস্তবতা বিবর্জিত রাজনীতির ময়দান ছেড়ে আমাদের জাতিগত গর্ব ও আত্মমর্যাদার স্মারক জাতীয় সেনাবাহিনী পর্যন্ত গড়িয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, দেশপ্রেমিক ও সুশৃঙ্খল ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী আজ বিশ্বশান্তি রক্ষায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বিশ্বসভায় বাংলাদেশের মর্যাদা উজ্জ্বল করেছে।
আব্দুর রহমান আরো বলেন, সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের এই ষড়যন্ত্র নতুন না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মিথ্যা ক্যু’র নামে তথাকথিত সামরিক ট্রাইব্যুনালে প্রহসনের বিচারে শত শত মুক্তিযোদ্ধা, সেনা কর্মকর্তা, হাজার হাজার সেনা সদস্যকে হত্যা করেছেন। প্রতিদিন নাস্তার টেবিলে বসে অবৈধ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শত শত সেনা সদস্যের ফাঁসির রায় স্বাক্ষর করতেন। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট সবসময় আমাদের আত্মমর্যাদার অনন্য স্মারক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা নিজেদের লোক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও সহিংসতা চালিয়ে আওয়ামী লীগ মহাজোট প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। যা তাদের নেতাদের ফাঁস হওয়া ফোনালাপ থেকে প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কা থেকে তারা ঢাকাসহ সারাদেশে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছে বলে আমরা জেনেছি। দেশবাসীকে বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের অপতৎপরতা সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতা পাকিস্তানপ্রেমী ড. কামাল হোসেন গতকাল তার সংবাদ সম্মেলনে ’৭১ এর গণহত্যাকারী ইয়াহিয়া খানের নাম উচ্চারণ করেছেন। বিবেকের আয়নার সামনে দাঁড়ালে ইয়াহিয়ার পাশে নিজেকে দেখতে পাবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের ভেতরে যুদ্ধাপরাধী রয়েছে—এটা শুধু একটা বলার জন্য কথা বলা। আওয়ামী লীগের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী আলিমকে কেউ খুঁজে পাবে না, আওয়ামী লীগের মধ্যে নিশ্চয়ই মুজাহিদ ও নিজামী কেউ খুঁজে পাবে না। এখন বলার জন্য একটা কথা আছে যে, পতাকার বিরুদ্ধে পতাকা দাঁড় করানো, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা দাঁড় করানো, ঘোষণার বিরুদ্ধে ঘোষণা দাঁড় করানো। যদি কোনো যুদ্ধাপরাধী আওয়ামী লীগের মধ্যে থেকে থাকে তাহলে তাদের ট্রাইব্যুনালের আশ্রয় নেওয়া উচিত ছিলো। ট্রাইব্যুনালের আশ্রয় না নিয়ে এই ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বানোয়াট, মিথ্যাচার করা জাতির জন্য লজ্জাস্কর এবং এটা আমাদের কাছে হাস্যকর ব্যাপার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
এসকে/এমজেএফ