তিনি বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপি নেত্রী (খালেদা জিয়া) কারাগারে। (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন) তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন।
রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মতিয়া চৌধুরী এ কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, মাথা না থাকলে কী হয়, দেহ কিছুক্ষণ নড়াচড়া করে। এরপর এক সময় নিশ্চল হয়ে যায়। বিএনপির এরকম অবস্থা হয় কি-না তা দেখার বিষয়। তবে বিএনপি নিশ্চল হয়ে যাক এটা আমি চাই না। আসলে দেশকে নিয়ে তাদের কোনো ধরনের পরিকল্পনা নেই। তারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। ডাক্তার যখন ভুল করে রোগী মারা যায়। আর নেতা যখন ভুল করে দল ছত্রখান হয়ে যায়। বিএনপির এখন এই অবস্থা।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মতিয়া চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের কাছাকাছি। এটা যদি আমরা অব্যাহত রাখতে পারি তাহলে বিশ্বের ২৫টি উন্নত দেশের মধ্যে থাকবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ১৫টি দেশকে টপকে গিয়েছি। আগামী কয়েক বছরে আরও ১৭টি দেশকে টপকে যাবো। শেখ হাসিনার সময়ে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এর অন্যতম কারণ কৃষকদের জন্য তার মমতা আর কৃষককে দেওয়া ভর্তুকি। পাশাপাশি তার রয়েছে বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা। রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গনে তিনি বিজ্ঞানমস্কতার পরিচয় দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এ সংসদ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করছেন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে। তিনি লড়ছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তার সহযাত্রী হিসেবে আছেন দেশবাসী। অনেকে ভেবেছিলো নির্বাচনের আগে আলোচনার কী দরকার। সবাইকে অবাক করে দিয়ে শেখ হাসিনা সব দলকে শুধু আলোচনার টেবিলে আনেননি, নির্বাচনেও এনেছেন। নির্বাচনে বিএনপি আসন না পেয়ে আবার নতুন নির্বাচনের দাবি করছে। তারা দাবি করছে ইলেকশনে কারচুপি হয়ছে। অথচ তারা কারচুপির একটি ডকুমেন্টসও দেখাতে পারেনি। নির্বাচনের পর সবার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার মধ্যে সৌজন্যবোধের কোনো অভাব নেই। অথচ বিএনপি এই মতবিনিময়েও যোগ দেয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এসকে/এইচএ/