মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলানিউজের কাছে মোবাইলে এ অভিযোগ তুলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন বলেন, পাটগ্রাম উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী রুহুল আমিন বাবুল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে এ কাজ করিয়েছেন।
এর আগে সকালে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানিকালে মামলার নথি উপস্থাপন করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
জানা যায়, ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু মনোনয়নপত্রে ভোটারদের স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তা বাতিল করেন বাছাই কমিটি। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেও মনোনয়নের বৈধতা পাননি তিনি। ফলে এ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থেকে যান আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন বাবুল।
অবশেষে তার মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি (রোববার) হাইকোর্টে আপিল করেন শাহীন। পরদিন সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকায় আনেন। কিন্তু মামলার নম্বর ভুল হওয়ায় ওই দিন শুনানি হয়নি। মঙ্গলবার যথারীতি কার্যতালিকায় মামলাটি ১৫ নম্বর আইটেম হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু শুনানির সময় মামলার নথি উপস্থাপন করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত।
এসময় আদালত সেকশন কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ও রাশেদকে ডেকে এনে দুপুর ২টার মধ্যে মামলার নথি উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু নিদিষ্ট সময়েও নথি উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় খরচে আদালতে পুনরায় ফাইল উপস্থাপনের নির্দেশ দেন আদালত।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীনের আইনজীবী মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী মোবাইলে বাংলানিউজকে বলেন, আদালত ওই কর্মকর্তাদের প্রতি অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন। তবে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেও দাবি করেন তিনি।
ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন অভিযোগ করে বলেন, তার একক প্রতিপক্ষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিন বাবুল মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তার মামলার ফাইল গায়েব করিয়েছেন। এটার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
জিপি