সোমবার (০১ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভায় এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি সবকিছুতে পলায়নপর মনোবৃত্তি নিয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের আশঙ্কা হয়, শেষ হয়ে যাওয়ার হতাশা থেকে তারা আবার চক্রান্ত করে কিনা। যদিও তারা চক্রান্তের বাইরে নেই। এজন্য আমরা সরকারকে সহযোগিতা করে যেতে চাই। সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া ১৪ দলের লক্ষ্য। আমাদের সমালোচনা আছে, থাকবে।
নাসিম বলেন, সার্বিকভাবে সরকার সফল। কিন্তু কিছু ব্যাক্তি ও গোষ্ঠী সরকারকে ব্যর্থ করতে কাজ করে যাচ্ছে। তারা নানা অনিয়ম করছে। এসব চিহ্নিত করে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। লাগাতারভাবে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সড়কে নৈরাজ্য, শিশু নির্যাতন, নারী নির্যাতন, ভবন নির্মাণে অনিয়ম এসব বাপারে আমরা উদ্বিগ্ন। এগুলো দূর করতে হবে। সড়কে নৈরাজ্য দূর করতে মন্ত্রিসভায় কিছু সিদ্ধান্ত ছিলো, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি, কেন হয়নি?
অনিয়ম অনেক দিন ধরে আছে। এগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব সমস্যা সমাধান করতে আমরা সরকার ও প্রশানসকে সহযোগিতা করতে চাই বলেও উল্লেখ করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বস্তি প্রকাশ করছি বনানী অগ্নিকাণ্ডের পর দুই ভবন মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা অনিয়ম করে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করেছিলো। যিনি এফ আর টাওয়ারের মালিক তিনি অপরাধী। কিন্তু বিএনপি এটা নিয়ে রাজনীতি করছে। অপরাধীকে সমর্থন করে বিএনপি এভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-কে বলবো এটা করবেন না। এখনও সময় আছে সংসদে আসুন। সংসদে আপনাদের নেত্রীর মুক্তির দাবি করেন, তাতেও সমস্যা নেই।
এক প্রশ্নের উত্তরে নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হবে। আগেও হয়েছে। আমরা চাই তার সুচিকিৎসা হোক। এতে সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই, এর মধ্যে কোনো রাজনীতিও নেই।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোহাম্মদ নাসিম ১৪ দলের কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সড়কে নৈরাজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল মতিঝিল ও ধানমন্ডিতে সমাবেশ করা হবে। এরপর ১৫ ও ১৬ এপ্রিল জামায়াত ছাড়া সব রাজনৈতিক দল, সড়ক পরিবহন মালিক, শ্রমিক সংগঠন, এনজিও, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সিরডাপে গোলটেবিল বৈঠক করা হবে। মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে আগামী ১৯ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে সমাবেশ করা হবে। এছাড়া রোজার মাসে যাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা না হয় সেজন্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে একদিন মতবিনিময় করা হবে।
মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অসিত বরণ রায়, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
এসকে/জেডএস