বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা শহর মাইজদীর প্রধান সড়কের টাউন হল থেকে সম্মেলনস্থল শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে সম্মেলনের ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।
দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৫৩ জনকে নোয়াখালী জেনালের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালটির আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল পৌনে ৯টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেলের জজকোট সড়ক থেকে অনুসারীরা মিছিল নিয়ে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সদর-সুবর্ণচর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীও সম্মেলনস্থলে যাচ্ছিলেন।
পথে নোয়াখালী টাউনহলের মোড়ে উভয়পক্ষ মুখোমুখি হলে প্রথমে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল অভিযোগ করে বলেন, বিনা উস্কানিতে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও তার লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।
সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ সম্মেলনকে
বানচাল করার উদ্দেশে তারা শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এসআরএস