ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

নাহিদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা, গণপদত্যাগের হুমকি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
নাহিদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা, গণপদত্যাগের হুমকি গোলাপগঞ্জ আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: বিতর্কিতদের দিয়ে পকেট কমিটি করা হলে গণপদত্যাগ করবেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
 

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।

নেতারা বলেন, ১৬ বছর পর ১৩ নভেম্বর গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও দ্বিতীয় অধিবেশনে উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটির জন্য সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম আহ্বান করা হয়।

দুই পদে একাধিক প্রার্থী নাম প্রস্তাব করেন। তৃণমূল থেকে প্রায় চারশ’ জন কাউন্সিলর নির্বাচন করা হয়, যাতে কোনো বিতর্ক বা অভিযোগ ছিল না। এই চারশ’ বৈধ কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচনের দাবি জানান। কিন্তু স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদের বারবার হস্তক্ষেপের কারণে ভোটপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। নুরুল ইসলাম নাহিদ নিজের পছন্দের টিআর কাবিখাখেকো, গ্যাস সিলিন্ডার জালিয়াতি চক্রের লোকদের দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শতভাগ কাউন্সিলররা ভোটের দাবিতে অনড় ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলা হয়, সংসদ সদস্য তার পছন্দের লোকদের ভোটের মাধ্যমে বের করতে পারবেন না বলে বিভিন্ন অপকৌশলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনও পর্যবেক্ষণ করেছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, তৃণমূলের বুকে ছুরিকাঘাত করে একজন সংসদ সদস্য ও প্রেসিডিয়াম মেম্বার গোলাপগঞ্জে নিজের অনুগত এবং বহুল বিতর্কিত লোকদের দিয়ে কমিটি করতে চান। অথচ একই নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যের নিজ উপজেলা বিয়ানীবাজারে সম্মেলন ও কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দু’টি উপজেলায় দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করেছেন এই সংসদ সদস্য।

তারা বলেন, এ বিষয়ে প্রায় ৩৫০ জন কাউন্সিলরের স্বাক্ষরযুক্ত একটি আবেদন গত ১৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা আশ্বস্ত করেছেন কোনো বিতর্কিত কমিটি হবে না। কিন্তু পরস্পর শুনতে পাচ্ছি, একতরফা কমিটি চাপিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

বক্তারা বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য তৃণমূলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কাউন্সিলরদের দাবি উপেক্ষা করে বিতর্কিতদের দিয়ে একতরফা পকেট কমিটি দিলে তৃণমূল কোনো অবস্থাতেই মেনে নেবে না। বরং বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখা থেকে গণপদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন নেতাকর্মীরা।  
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

নেতারা বলেন, সদর উপজেলা কমিটি স্থগিত করে ফের কমিটি দেওয়া হয়েছে, নেতাকর্মীরা গোলাপগঞ্জের নেতাদেরও এ ধরনের ভূমিকা আশা করেন। আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে আওয়ামী লীগ দরকার, সেই আওয়ামী লীগ দিয়ে কমিটি চান তৃণমূল নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বাঘা ইউনিয়ন সভাপতি সাইদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ, সদর ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুস সামাদ জিলু, ফুলবাড়ি ইউনিয়ন সভাপতি মশাহিদ আলী, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, লক্ষিপাশা ইউনিয়ন সভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল মজিদ রুশন, আমুড়া ইউনিয়ন সভাপতি বদরুল হক, সম্পাদক কামরান হোসেন, শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন সভাপতি লুৎফুর রহমান, বাদেপাশা ইউনিয়ন সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, লক্ষণাবন্দ ইউপি সভাপতি রুকন আহমদ, সম্পাদক আফতাব হোসেনসহ সদ্য সাবেক কমিটির নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এনইউ/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ