ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

আ’লীগের সম্মেলন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে: হাছান মাহমুদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
আ’লীগের সম্মেলন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে: হাছান মাহমুদ

ঢাকা: যারা রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ও কেনা-বেচার হাট বসিয়েছিলেন, তাদের আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন থেকে অনেককিছু শেখার আছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

দলটির নতুন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আমি মনে করি আওয়ামী লীগ শুধু এদেশের রাজনীতিতে নয়, জাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে সব সময় কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের এ সম্মেলন থেকে যারা রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছে, তাদের অনেককিছু শেখার আছে।

যারা রাজনীতিতে কেনা-বেচার হাট বসিয়েছিল তাদেরও অনেককিছু শেখার আছে। আওয়ামী লীগে প্রতি তিন বছর পর পর নিয়মিত সম্মেলন হয়। যেটি বিএনপি, জাতীয়পার্টিসহ অনেক দলে হয় না। আমাদের দলে নেতা নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। এটা অনেক দলে নেই।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন। এজন্য তার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি আমাকে পরিবেশ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেটি আমি দায়িত্ব সহকারে ১০ বছর পালন করেছি। আমাকে প্রচার সম্পাদক বানিয়েছেন, দীর্ঘ সাত বছর সেটিও আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, আমার জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে যেন সে আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করতে পারি, সেটাই হচ্ছে আমার প্রতিজ্ঞা।

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল নিয়ে মতামত জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল দেশের প্রক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই কাউন্সিল ঘিরে সমগ্র জেলা ও উপজেলায় কাউন্সিলর ঘোষিত হয়েছে। আমরা টানা এগার বছর পর পর তিন বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছি জনগণের মাইন্ডেড নিয়ে। সে কারণে দলের মধ্যে অনেক স্বার্থান্বেষী মহলের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এবার জাতীয় কাউন্সিল ঘিরে সমস্ত জেলা-উপজেলায় যে কাউন্সিল হয়েছে, সেখানে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। দলের মধ্যে যারা সুযোগ সন্ধানী, যারা এক সময় দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, যারা অনুপ্রবেশকারী, তাদের অবশ্যই নেতৃত্বে আনা যাবে না। সে মোতাবেক জেলা উপজেলায় কমিটি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে জাতির জন্য দিকনির্দেশনা থাকে। কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের একটি ঘোষণাপত্র থাকে। সে ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করা হয় ও অনুমোদন নেওয়া হয়। সেখানে দেশের অগ্রগতি ঘটিয়ে কোথায় নিয়ে যেতে চাই সেটা থাকে। অর্থাৎ আমরা অগ্রগতি ঘটিয়ে দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চাই সে নির্দেশনা থাকে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের  নেতৃত্বেই আমরা সরকার গঠন করেছি। সরকার ও দলের মধ্যে একটি যোগসূত্র থাকতে হয়। কাজের সুবিধার্থে কেউ গুরুদায়িত্বে থাকলে সেক্ষেত্রে কোনটা তিনি করবেন সেটিও নির্ধারণ করার বিষয় থাকে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা কমিটি গঠন করেছেন। এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার পরই এ বিষয়ে কথা বলা সমিচীন হবে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, রাজনীতি হলো একটি ব্রত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ঘটানো হয়েছে। জিয়াউর রহমান রাজনীতিকে হাট বানিয়েছিলেন। সেখানে রাজনীতিবিদদের বেচা-কেনা করা হতো। এর ধারাবাহিকতা এরশাদ সাহেব বেগবান করেছিলেন। আর খালেদা জিয়া সেটাকে ১৬ কলায় পূর্ণ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।