সোমবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে ১৪ দলের শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মোহাম্মদ নাসিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ১৪ দলের এ মুখপাত্র বলেন, আমি একটি দলের নেতা, আমি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হয়েও নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে পারবো না।
‘দলের নেতা অথচ সংসদ সদস্য হওয়ার কারণে কেউ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় নামতে পারবেন না এটা সমতা হলো না। এটা লজ্জাজনক, এই আইন সংশোধন করতে হবে। মন্ত্রীরা প্রচারের বাইরে থাকবে, সেটা থাক। কিন্তু যিনি এমপি তিনি যেন প্রচারে নামতে পারেন। এই আইনের অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আমরা যাতে প্রচার চালাতে পারি সে ব্যবস্থা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। ’
এ সময় বিএনপইর সমালোচনা ও সুষ্টু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাসিম আরও বলেন, নির্বাচন শুরুই হয়নি অথচ আগেই বিএনপি বলছে কারচুপি, কারচুপি। এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এই নির্বাচনে জনগণ যে রায় দেবে, আমরা সেটা মাথা পেতে নেবো। আমরা ১৪ দল চাই সুষ্ঠভাবে যাতে নির্বাচন হয়। এর জন্য নির্বাচন কমিশন কঠোরভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে। আমরা ১৪ দল সব ধরনের সহযোগিতা করবো।
শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। আছে বায়ু দূষণ, রাস্তাঘাট দিয়ে চলা যায় না। আমরা মানুষের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা পূরণ করতে পারিনি। সবচেয়ে বড় কথা এই শহরে ডেঙ্গু আতঙ্ক রয়েছে। আগামীতে ডেঙ্গু আরও বড় আকারে আসবে। আমরা এর সমাধান করতে পারিনি। এই ঢাকা মহানগরকে পরিবেশবান্ধব করে গড়তে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করেপারেশনের সঙ্গে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বৈষম্য আছে। এগুলো দূর হওয়া দরকার। এবারের ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেধার লড়াই হবে। অন্য কোনো বিষয় এখানে কাজে আসবে না। সবাইকে ঐক্যবব্ধভাবে মাঠে নামতে হবে। মনে রাখতে হবে ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। জামায়াতে ইসলাম ভেতরে ভেতরে সংগঠিত হচ্ছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহাগরের সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমদ মন্নফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘন্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এসকে/এইচজে