শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার ১৫তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার স্ত্রী সংস্থার সভাপতি আইনজীবী সিগমা হুদা।
অনুষ্ঠানে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর লেখা একটি চিঠি সালমান এফ রহমানের হাতে তুলে দেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এর আগে তিনি সম্মেলনে চিঠিটি পড়ে শোনান।
চিঠিতে বলা হয়, ঢাকার ৪ নম্বর কলেজ রোডে একটি ২০ তলার ভবন নির্মাণ করার কথা। এখানে ২০ তলা বিশিষ্ট মানবাধিকার ভবনটি জাতির পিতার নামে নামকরণ করবো। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানবাধিকার ভবন। ’ এ ভবন জাতির পিতার মানবাধিকারের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আপনার কাছে প্রস্তাব করতে চাই যে, আপনি আমাদের এ ভবনটি তৈরি করে দিন।
এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনই হয়েছে হিউম্যান রাইটসের জন্য। যেহেতু আমাদের হিউম্যান রাইটসটা ভায়োলেট ছিল, আমাদের অধিকার নেওয়ার জন্য, আদায় করার জন্য এ দেশটা বঙ্গবন্ধু স্বাধীন করেছেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ কোথায় এগিয়ে গেছে, এগুলো সবাই জানেন। কিছুদিন আগে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বললো, এশিয়া প্যাসিফিক রিজিয়নে বাংলাদেশের সব থেকে হায়েস্ট গ্রোথ হয়েছে। আট পার্সেন্টের ওপরে।
‘সম্প্রতি এইচএসবিসি ব্যাংক ৭৫ দেশের মডেলিং করেছে। তারা দেখিয়েছে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গ্রোথ রেট হবে বাংলাদেশের। ’
‘প্রধানমন্ত্রী মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন। ...যারা জঙ্গি যারা মাদকের সঙ্গে আছে, যারা সন্ত্রাসী এদের স্টপ করতে হবে। আপনারা সমাজের সঙ্গে কাজ করতেছেন। আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করবো-মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনারা প্রচার করবেন। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের কথা যদি বলতে হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর থেকে বড় মানববন্ধু হতে পারে না। রোহিঙ্গদের আমরা যে শেল্টারটা দিয়েছি। আপনারা দেখেছেন তুরস্ক, ইতালি, স্পেন কীভাবে রিফিউজিদের তাদের সীমনায় ঢুকতে দেয় না। আমেরিকাও কী ব্যবহার করেছে এটা তো দেখতেছেন। ১০ থেকে ২০ হাজার রিফিউজি নিয়ে তাদের এতো মাথা ব্যথা। আর আমরাতো এখানে ১০ লাখ রিফিউজি এনেছি। যার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে মাদার অব হিউম্যানিটি টাইটেলটা দেওয়া হয়েছে। ’
সংস্থাটির ভবন নির্মাণের বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, আপনারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। আপনারা চেয়েছেন যেন মানবাধিকার ভবনটা বঙ্গবন্ধুর নামে হোক। আমি এতটুক কথা দিতে পারি, এ চিঠিটা আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হাতে আপনাদের পক্ষ থেকে পৌঁছে দেবো। আমি এটা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
ইএস/এইচএডি/