মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার দিকে জেলা শহরের পৌরসভা এলাকার তালতলা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত মোনাজাত তালতলা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাত রাত সাড়ে ৭টার দিকে গ্রামটির তেঁতুলতলা মোড়ের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে যুবলীগ কর্মী মোনাজাতকে ৭/৮ জনের সশস্ত্র একটি দল জোড়পূর্বক ধরে গ্রামের স্কুলের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করা হয়। এসময় মোনাজাতের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ নিয়ে ভর্তি করা হয়। কিন্তু প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থার অবনতি দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাকিল আরসালান।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন বাংলানিউজকে জানান, হামলাকারী ও হামলার শিকার হওয়া উভয়ই একই সংগঠনের নেতা-কর্মী। নিজেদের মধ্য পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এদিকে যুবলীগ কর্মী মোনাজাতের ওপর হামলার খবর পেয়ে রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে যান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জায়ার্দ্দারসহ যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা। তারা হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের আটকের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
এসআরএস