সোমবার (১৫ জুন) এক শোকবার্তায় এইচ টি ইমাম বলেন, ‘মৃত্যু অমোঘ, কিন্তু কিছু মৃত্যু কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। নীরব নিথর পাথরও যেন ঢুকরে ওঠে।
‘বদরউদ্দিন আহমদ কামরান একজন সফল রাজনীতিবিদ, কর্তব্যপরায়ণ ও আকর্ষণীয় গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত ছিলেন। সিলেট সিটি করপোরেশনের শুরু থেকে ১০ বছর সুখ-দুঃখের সাথী ছিলেন তিনি। ’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল মহান এ ব্যক্তিটি মুক্তিযুদ্ধের চেতান বাস্তবায়নে এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছিলেন সর্বদা বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।
সবশেষে তিনি মরহুম বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহানুভূতি জানান।
এর আগে গত ৫ জুন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে কামরানের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিন রাত থেকে প্রথমে বাসায় আইসোলেশনে রাখা হলেও ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়াতে রোববার (৭ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে তাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার দেহে করোনাজয়ী কারো ‘এ’ পজিটিভ রক্তের সংগৃহীত প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়।
তার স্বজনরা জানান, হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার পর পরই বদর উদ্দিন আহমদ কামরান কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। রোববার (১৪ জুন) দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বদরউদ্দিন আহমদ কামরান শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
এমইউএম/এএটি