ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

ভুল তথ্য দিচ্ছে বিএনপি!

মাহমুদ মেনন ও মান্নান মারুফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৩
ভুল তথ্য দিচ্ছে বিএনপি!

ঢাকা: গ্রেফতার, নিহত ও আহতের পরিসংখ্যানে শুভঙ্করের ফাঁকি দিচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এসব বিষয়ে দলটির দেওয়া রিপোর্টের সঙ্গে বাংলানিউজের মাঠ পর্যায়ে থেকে আসা তথ্যের ব্যাপক গড়মিল পাওয়া গেছে।



বিএনপি জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে দেশের তিন জেলায় দলটির ৯ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৫৮ জন। বিভিন্ন জেলায় ৬৪৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। মামলা দায়ের করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৫৬৭ জনের বিরুদ্ধে। আর ৪২টি জেলায় মোট মামলা হয়েছে ৪২৭টি।

তবে বাংলানিউজের অনুসন্ধানে দেখা গেছে- নিহতদের মধ্যে ৯ জন নয়, ৭ জন বিএনপি’র নেতা-কর্মী। এছাড়া গ্রেপ্তার বা আটক হননি এমন নেতাকেও বিএনপির রিপোর্টে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আবার বিএনপি যাদের নিজেদের নেতা-কর্মী বলে দাবি করছে তারা মূলত জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী বলে প্রমাণ মিলেছে। এমনকি বিএনপি গ্রেপ্তার বলে দাবি করেছে- এমন অনেক নেতার নাম সংশ্লিষ্ট কোন কমিটিতেই পাওয়া যায় নি।

এছাড়া আটক হওয়া অনেক নেতা-কর্মীকে বিএনপি ও জামায়াত-ছাত্রশিবির উভয় পক্ষই নিজেদের নেতা-কর্মী বলে দাবি করেছে। রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সব জেলাতেই বিএনপির দেওয়া গ্রেপ্তার, আহত ও মামলার আসামি সংখ্যায় এমন হেরফের দেখা গেছে।    

কক্সবাজারে যুবদল নেতা ইমরান, সাহাবুদ্দিন, আকবর, জহুরুল আলম, মো. সেলিম ও পারভেজ উদ্দিনসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় বিএনপির তরফে দাবি করা হলেও এসব নামে কোন নেতা থাকার কথা অস্বীকার করেছে জেলা যুবদল। অনুসন্ধানে জানা গেছে এরা জামায়াত-শিবির কর্মী।

বগুড়ায় ২৫ হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে বিএনপির দেওয়া তথ্য নিশ্চিত করেনি সেখানকার পুলিশ প্রশাসন। তারা বলেছে, এখানে ২৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় সবগুলো মামলাই হয়েছে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। কোনো মামলাতেই বিএনপি নেতা-কর্মীর কথা উল্লেখ করা হয়নি।

জয়পুরহাটে পাঁচবিবি থানায় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা ছাড়া সেখানে দলটির আর কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে বিএনপি’র দাবি- এ জেলায় দলের তিন শ’ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া  যেসব নেতা ও কর্মীর নামে মামলা হয়েছে বলে বিএনপি দাবি করেছে তাদের মধ্যে আবদুল মতিন ও আরমান ছাড়া মোমিন, সাইদুর, রফিকুল ইসলাম, আবদুল আজিজ, শহিদুল, আশরাফ, আসাদুল শিবির কর্মী।

ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ জন নিহত হলেও এদের মধ্যে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সদস্য চারজন। বাকি দুইজনের একজন শিবির সদস্য ও অপরজন সাধারন পথচারী। তবে এই ৬ জনকেই নিজেদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি।

লক্ষ্মীপুরে দুই ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তার হওয়ার কথা বলা হলেও বাংলানিউজের কথা হয় এদের একজন আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর সঙ্গে। তিনি নিজেই এমন গ্রেপ্তারের খবর অস্বীকার করেন এবং নিশ্চিত করেন চেয়ারম্যান ওমর ফারুককেও গ্রেপ্তার করা হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাহিন, দুলাল, মনিরসহ ২৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার হওয়ার দাবি করা হয়েছে। কিন্তু বাংলানিউজের তথ্যে মাহিনকে আটক করা হলেও তার জামিন হয়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ প্রশাসন নিশ্চিত করেছে এ জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছে মাত্র চার জন।

বিএনপি দাবি করেছে- সাতক্ষীরায় তাদের সদর থানার সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আলী গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু জেলা বিএনপি’র দেওয়া তথ্যেই সদর থানা বিএনপিতে লিয়াকত আলী নামে কোনো নেতা নেই। আর শ্যামনগর থানা বিএনপি’র যুগ্মসম্পাদকের নাম লিয়াকত আলী, যার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো মামলা নেই। তিনি বহাল তবিয়তে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। জেলা বিএনপি’র দেওয়া তথ্যে তাদের ১০/১১ জন নেতার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তবে সাতক্ষীরায় মোট ৫৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৪-১৬ হাজার জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীকে।

আর বাগেরহাটে বিএনপি তাদের নেতা-কর্মীদের আহত হওয়ার তালিকায় যে ওয়াদুদ শেখের নাম উল্লেখ করেছে তিনি মূলত জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি। এছাড়া ওহিদুল বিশ্বাসও জামায়াত কর্মী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ জেলায় ৬টি মামলা হয়েছে- যেগুলোর আসামিদের অধিকাংশই জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মী।

বিএনপি’র দেওয়া তথ্যে ঢাকা মহানগরে ১৬০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে তাদের মধ্যে ৩ জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। সে হিসাবে আটক থাকার কথা ১৫৭ নেতা-কর্মীর। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পুলিশের হাতে আটক রয়েছেন ১৫৪ জন।

অন্য অনেক জেলাতেই বিএনপি ঢালাওভাবে তাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং তাতে আহত হওয়ার কথা বলেছে। গণগ্রেপ্তার ও গণমামলার দাবি করেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর পুলিশ প্রশাসন এমনকি জেলা বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব দাবির সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যায় নি।

বিএনপির তালিকা অবিকৃতভাবে তুলে ধরা হলো

ঢাকা: গত ১১ মার্চ গ্রেপ্তার হন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মোঃ শাহজাহান, রিজভী আহমেদ, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও বিএনপির প্রচার স¤পাদক জয়নুল আবদীন ফারুক, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক স¤পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জামাল শরীফ হিরু,মো¯াফিজুর রহমান বাবুল, জেড মর্তূজা চৌধুরী তুলা, মাহবুবুল হক নান্নু, ফোরকান-ই-আলম, মুহাম্মদ মুনির হোসেন, ডি এল মহাসচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, অ্যাডভোকেট আবেদ রেজা, তাইফুল ইসলাম টিপু, প্রফেসর আবু তাহের, স্বেচছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক আশরাফ হোসেনসহ ১৬০ জন। এর মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে মুক্তি দিয়ে বাকী নেতাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া ওই রাতেই গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের সামনে থেকে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়।

ঠাকুরগাঁও:  গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ, বিজিবি নির্বিচারে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যায় এবং চিকিৎসাধীন থানা অবস্থায় গতকাল দায়মুল নামে একজন বিএনপি কর্মী মৃত্যুবরণ করেন।

ফেনী জেলাঃ  মনির উদ্দিন বাচচু, শাহাদৎ হোসেনসহ ১৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার। ৩৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।   ৫ টি মামলা হয়েছে ৮০০ জনের অধিক নেতা-কর্মীর নামে।

ব্রাম্মনবাড়িয়া:  মাহিন, দুলাল, মনিরসহ ২৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার। ৭০ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে। ৪টি মামলা হয়েছে ২০০ জন নেতা-কর্মীর নামে।

নোয়াখালীঃ   সদর উপজেলা যুবদল কর্মী মোঃ খোকনকে গুলি করে হত্যা করে। বেগমগঞ্জে যুবদল কর্মী শহিদুল্লাহ লিটন, নুরুদ্দিনকে পুলিশ গুলি  করে হত্যা করে। গ্রেফতার হয়েছে ফিরোজ, শাহাবুদ্দিন , শফি, হারুন অর রশিদসহ ২৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী, আহত হয়েছে প্রায় ৩০ জন। মামলা হয়েছে ৮টি ২৫০০ জনের অধিক নেতা-কর্মীর নামে।

চট্রগ্রাম দক্ষিণঃ  আলহাজ্ব আলমগীর কবির চৌধুরীসহ ৩৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

চাঁদপুর জেলাঃ  খলিল গাজী, সজলসহ ৩৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার। আহত হয়েছে ২০ জনের অধিক। ৬ টি মামলা হয়েছে ২৫০ জন নেতা কর্মীর নামে।

বান্দরবান জেলাঃ  কামাল উদ্দিনসহ ১৮ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছে। আহত হয়েছে ২৮ জনের অধিক নেতা-কর্মী। ২ টি মামলায় ১০০ জনের নামে মামলা হয়েছে।

কুমিল্লা উত্তরঃ  কবীর হোসেন, আবুল হোসেনসহ ৩ জন গ্রেফতার। আহত হয়েছে ৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মী। ৭টি মামলা হয়েছে ১৪০ জনের অধিক।

কক্সবাজার জেলাঃ  যুবদল নেতা ইমরান, সাহাবুদ্দিন, আকবর, জহুরুল আলম, মোঃ সেলিম, পারভেজ উদ্দিনসহ ১৭ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার। আহত হয়েছে ৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মী। ১৬ টি মামলা হয়েছে ৫০০০ জনের অধিক নেতা-কর্মীর নামে।

সুনামগঞ্জ জেলাঃ   মামলা হয়েছে ৫টি ৫০ জনের নামে।

ময়মনসিংহ দঃ জেলাঃ  আতিকুজ্জামান, বাপ্পিসহ ২০ জন গ্রেফতার । আহত হয়েছে ৩০ জনের অধিক নেতা-কর্মী। ২০০০ জনের অধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মিলন আকন্দ গতকাল থেকে নিখোজ রয়েছে।

ময়মনসিংহ উত্তর জেলাঃ  ৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার।

পটুয়াখালী জেলাঃ  যুবদল নেতা সোহেল, ছাত্রদল নেতা ইমরানসহ ৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার।

চট্রগ্রাম মহানগর :  ১টি মামলা হয়েছে ১২ জন নেতা-কর্মীর নামে।

খাগড়াছড়ি জেলাঃ  রেহমান, নুরুল শফিকসহ ১২ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার। আহত হয়েছে ৪৮ জন এবং ৫টি মামলা হয়েছে ৪০০ জন নেতা-কর্মীর নামে।

টাংগাইল জেলাঃ  ৩ জন গ্রেফতার, আহত ২৫ জন। সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে।

জামালপুর জেলাঃ   ১৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার, আহত হয়েছে ১৫/২০ জন।

নরসিংদী জেলাঃ  ৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার, আহত হয়েছে ৬ জনের অধিক নেতা-কর্মী, ৪৫ জনের নামে মামলা হয়েছে।

নারায়নগঞ্জঃ  ১২ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার, ৭০ জনের অধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে।

ঢাকা জেলাঃ  ১৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার, আহত হয়েছে ৭০ জনের অধিক নেতা-কর্মী। শহস্রাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে।

গোপালগঞ্জঃ  ৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার, আহত ২৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী। শতাধিক নেতা কর্মীর নামে মামলা হয়েছে।

ফরিদপুর:  ১৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার, আহত হয়েছে প্রায় ৪০ জন।

মাদারীপুরঃ  ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলা হয়েছে ৫০০ জনের অধিক নেতা-কর্মীর নামে।

শরিয়তপুর:  ১৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছে, আহত হয়েছে ২০ জনের অধিক নেতা-কর্মীর নামে। মামলা হয়েছে ১০০ জনের অধিক নেতা-কর্মীর নামে। চলমান পাতা-৩

লক্ষ্মীপুর জেলাঃ  ওমর ফারুক চেয়ারম্যান, আনোয়ার চেয়ারম্যানসহ ২০ জনের অধিক গ্রেফতার। মামলা হয়েছে ২৭ টি। আহত হয়েছে ২৬ জনের অধিক নেতা-কর্মী।

পটুয়াখালী জেলাঃ  যুবনেতা সোহেল, ছাত্রনেতা এমরানসহ ৭ জন গ্রেফতার। শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা।

বরিশাল মহানগরঃ  জেলা ছাত্রদল নেতা জনি, নগর ছাত্রদল নেতা রনিসহ ১০ জন গ্রেফতার।

ঝালকাঠি:  বদরুল, হালিম, কামাল, বাহার, শন্তুপালসহ ১৫ জনের অধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার।

লালমনিরহাটঃ  দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে মোট ৩টি, আসামী সংখ্যা-৪০ জন। জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোঃ মিঠু গ্রেফতার। বাকী সবাই পলাতক।

সাতক্ষীরা:   মামলা সংখ্যা ১৪০টি। আসামী সংখ্যা ২০ হাজারের অধিক। মৃত্যের সংখ্যা-১১ জন(১৮ দলীয় জোটের)। বিএনপির ১ জন। সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক স¤পাদক লিয়াকত আলী গ্রেফতার। বাকী সবাই পলাতক।

রাজশাহী জেলাঃ  মামলা সংখ্যা ৫টি, দ্রুত বিচারে মামলা হয়েছে-৩টি, আসামী সংখ্যা-২৪৫ জন। অজ্ঞাত কয়েক শত।   আবু সাঈদ চান, বিকুল, ডি এম জিয়া, আবদুর রাজ্জক, আবু হেনাসহ ৯ জনের অধিক গ্রেফতার।

রাজশাহী মহানগরীঃ  মোট মামলা সংখ্যা-৬টি, আসামী সংখ্যা ২৫০ জন, অজ্ঞাত কয়েক হাজার। শফিকুল ইসলাম, আসলাম সরকার, নাজির, শাকিল, জহুরুল, আক্কাস, ছামিসহ ১১ জনের অধিক গ্রেফতার।

খুলনা জেলাঃ  মামলা সংখ্যা-১১টি, আসামী সংখ্যা- ৫ শতাধিক, অজ্ঞাত কয়েক হাজার।

খুলনা মহানগরঃ মোট মামলা সংখ্যা ৫টি, আসামী সংখ্যা ৯০ জন, গ্রেফতার ৭ জনের অধিক।

বাগেরহাট:  মামলা সংখ্যা ৭টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে ২টি, আসামী কয়েক হাজার, এছাড়াও জেলাধীন বিভিন্ন থানা ইউনিয়নে বিএনপি নেতা কর্মীদের ওপর যুবলীগ ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হামলায় বিএনপি নেতা কামাল, মাহবুব, আজিজ শেখ, মোজাম শেখ, ওয়াদুদ শেখ, আমানুর মেম্বারন, মামুন, মাহমুদ, ওয়াহিদুল বিশ্বাসসহ ১৫০ জনের অধিক গুরুতর আহত হয়েছেন এবং এদের বাড়ীতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে।

কুষ্টিয়া:  মোট মামলা সংখ্যা ৭টি, আসামী সংখ্যা ৫০০ জন, অজ্ঞাত কয়েক শত। গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ হলেন-মঞ্জুরুল হাসান পুটি,সুমন, রাকিবুল ইসলাম রাব্বি, কল্লোল বাবুসহ ৩৫ জনের অধিক।

মাগুড়া:  মোট মামলা সংখ্যা ২০ টি, দ্রুত বিচার আইনে ৪টি মামলা, আসামী সংখ্যা ১৬০ জনের অধিক, অজ্ঞাত কয়েক শত।

নাটোর:  মোট মামলা সংখ্যা ৫টি, দ্রুত বিচারে মামলা হয়েছে ৩টি, আসামী সংখ্যা ৩ শতাধিক, অজ্ঞাত আরো কয়েক শত।

দিনাজপুর: মামলা সংখ্যা ১০টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে ২টি, আসামী সংখ্যা ৬৫ জনের অধিক। অজ্ঞাত ৫ শত জন। গ্রেফতারকৃত হলেন-নয়ন চেয়ারম্যান, জাফহুল ইসলামসহ ১৩ জন।
 
মেহেরপুর:  মামলা সংখ্যা ৭ টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে-৩টি, আসামী সংখ্যা-২৫০জন, অজ্ঞাত কয়েক শত।   কামরুজ্জামান ডাবু, আসাদুজ্জামান বাবলুসহ ৭ জনের অধিক গ্রেফতার। বাকী সবাই পলাতক। চলমান পাতা-৪

বগুড়া জেলা:  মামলা সংখ্যা ২২টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা ১২ টি, আসামী সংখ্যা ২৫ হাজার।
আসামীরা সবাই বাড়ী ছাড়া।

জয়পুরহাট:  মামলা সংখ্যা ৪৮ টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে ৩টি, আসামী সংখ্যা সাড়ে ৩ শত, অজ্ঞাত আসামী  কয়েক হাজার।   গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ হলেন-আবদুল মতিন, আরমান, মোমিন, সাইদুর, রফিকুল ইসলাম, আবদুল আজিজ, শহিদুল, আশরাফ, আসাদুলসহ ২০ জনের অধিক।

রংপুর:  মোট মামলা সংখ্যা ৭টি, দ্রুত বিচারে মামলা হয়েছে ২টি, আসামী সংখ্যা ১০০ জনের অধিক, অজ্ঞাত আসামী কয়েক শত।

পাবনা জেলাঃ  মামলা সংখ্যা ৩টি, দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে ১টি, আসামী সংখ্যা ৭০ জনের অধিক, অজ্ঞাত আসামী কয়েকশত, সবাই পলাতক।

পিরোজপুর:   ১টি মামলায় ৩০০ জনের অধিক নেতা-কর্মীদের নামে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম, নজিবুল, নজরুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা মাসুদ, কামরুলসহ ১১ জনের অধিক। এছাড়া গতকাল পর্যš আওয়ামী যুবলীগ ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হামলায় ২০/২৫ জন আহত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৩
জেডএম/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।