ঢাকা, বুধবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

২২টির মধ্যে চূড়ান্ত ৩টি

নতুন মিশন খোলার প্রক্রিয়ায় ধীরগতি

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১১
নতুন মিশন খোলার প্রক্রিয়ায় ধীরগতি

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দূতাবাস ও কনস্যুলেটসহ ২২টি নতুন মিশন খোলার দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। বিদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ দৃঢ় করা এবং জনশক্তি রপ্তানি বাড়ানো ও প্রবাসীদের কল্যাণে এসব মিশন খোলার উদ্যোগ নেয় সরকার।

অথচ ২২টির মধ্যে মাত্র তিনটি খোলার কার্যক্রম চূড়ান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেলেও পররাষ্ট্র, সংস্থাপন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ফাইল ও চিঠিপত্র চালাচালিতেই প্রচুর সময় ব্যয় হচ্ছে বলে জানা গেছে।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সুদানে নতুন করে দূতাবাস খোলা এবং ইতালির মিলানে নতুন কনস্যুলেট খোলার দাপ্তরিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এছাড়া আফগানিস্তানের কাবুলে বন্ধ হয়ে যাওয়া মিশনটি পুনরায় চালু করার কাজ শেষ হয়েছে।

বর্তমান সরকারের আমলে মিশন খোলার পরিকল্পনায় নেওয়া দেশ ও শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে-সিয়েরালিওনের ফ্রি-টাউন, নাইজেরিয়ার আবুজা, পর্তুগালের লিসবন, মরিশাসের পোর্টলুইস, লেবাননের বৈরুত, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা, ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া, রুমানিয়ার বুখারেস্ট, পোল্যান্ডের ওয়ারশ, মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, ভারতের মুম্বাই ও চেন্নাইতে উপ-হাইকমিশন, গৌহাটিতে সহকারী হাইকমিশন, আগরতলা ভিসা অফিসকে সহকারী হাইকমিশনে রূপান্তর এবং চীনের কুনমিং-এ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস স্থাপন।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন মিশনগুলোতে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়াও একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দায়িত্ব নিতে পারেন এমন কর্মকর্তা খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’

সূত্র জানায়, মিশন খোলার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করলেও অর্থ ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে বড় ধরনের কাজ রয়েছে। মিশনগুলোতে কী ধরনের কর্মকর্তা বা কর্মী থাকবে, কেন থাকবে, সে ব্যাপারে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় কঠোর মনোভাব দেখায়। সেইসঙ্গে অর্থমন্ত্রণালয়ও অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে খরচের ব্যাপারটি বিবেচনা করে। এসব স্থানে মিশন খোলার ফাইল পাঠালে একই কাগজের ২৫ সেট করে পাঠাতে হয়। সরকারি ম্যানুয়ালের সঙ্গে মিল না থাকলে আবারও নতুন করে সেই ফাইল পাঠাতে হয়।

নতুন মিশন খোলার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘নতুন নতুন মিশন খোলার এই উদ্যোগ বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাংলাদেশের উপস্থিতির মাধ্যমে প্রবাসী ও অভিবাসী বাঙালিদের সেবাদানের পরিধির বিস্তৃতি যেমন নিশ্চিত করবে, তেমনি বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিচিতির প্রসার ঘটাবে। ’  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আব্দুল হাই এ ব্যাপারে বলেন, ‘সুদানের খার্তুম, আফগানিস্তানের কাবুল এবং ইতালির মিলানে কনস্যুলেট খোলার কার্যক্রম চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এর মধ্যে সুদানে শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ম্যানচেস্টারে কর্মরত আসাদ আল সিয়ামকে সেখানে সিডিএ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ’

তিনি জানান, ‘আফগানিস্তানের কাবুল ও ইতালির মিলানেও খুব শিগগির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। ’

অন্য মিশনগুলো খোলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিশন খোলা শুধু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়, এর সঙ্গে অন্য বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ রয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।