বিভাগের উপ-সচিব এমদাদুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। সম্প্রতি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান বরাবর চিঠিটি পাঠানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, সাধারণ বিমা কোম্পানির ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণী প্রবিধানমালা সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধন করা হবে।
তার আগে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে প্রবিধানমালাটি সংশোধনের একটি প্রস্তাবনা পাঠাবে আইডিআরএ। এরপর ৩১ মার্চের মধ্যে বিভাগের সভা করে তা চূড়ান্ত করা হবে।
সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বিমা খাতে স্থিতিশীলতা রজায় রাখতে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্তের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয় চিঠিতে।
গত ১৮ জুলাই ‘নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ব্যয় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণী প্রবিধানমালা ২০১৬’ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, বিমাকারী নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় কোনো পঞ্জিকা বছরে ব্যবসা সংগ্রহের কমিশন খরচ বা পারিশ্রমিকসহ সেটা ব্যবস্থাপনা ব্যয় সীমার অতিরিক্ত হবে না।
ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের আটটি ধাপের একটি ধাপ হলো- ১ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত এবং পরবর্তী প্রতি ৫ কোটি টাকার একেকটি ধাপ নির্ধারণ করা হয়। আর প্রথম সাত ধাপে ৪০ কোটি টাকা গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহের জন্য কোম্পানিগুলো অগ্নি ও অন্যান্য বিমায় বা পারিশ্রমিকসহ ব্যবস্থাপনা খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় করতে পারবে ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা ২৯ শতাংশ। অন্যদিকে নৌ বিমায় সর্বোচ্চ ব্যয় করতে পারবে ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা শতাংশ। এছাড়া ৪০ কোটি টাকার ওপরের অংকের গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহের জন্য ব্যয় করতে পারবে অগ্নি ও অন্যান্য বিমায় ২২ শতাংশ এবং নৌ বিমায় ১৬ শতাংশ।
এরপর বিমা কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন এবং সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর এমডি ও চেয়ারম্যানরা এই প্রবিধানের বিরোধিতা করেন। তারই প্রেক্ষাপটে অর্থ মন্ত্রণালয় এই চিঠি দিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
এমএফআই/এইচএ/