ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন খরচ কমছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৭
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন খরচ কমছে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক পর্যায়ে লেনদেন খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা। 

সোমবার (৬ মার্চ) বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান তিনি।  
 
শুভঙ্কর সাহা বলেন, দেশের ১৭টি ব্যাংক মোবাইলে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।

এর মধ্যে বিকাশ ছাড়া বাকি ১৬টি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ। মোবাইল ব্যাংকিং সেবার চার্জ বেশি হওয়ায় চার্জ কমাতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টি নিয়ে পরিচালনা পর্ষদে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে এটা কমানো যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
 
বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেনে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে চার্জ (হাজারে ১৮ টাকা) নিচ্ছে সেবাদাতা কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১৯টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং করার অনুমোদন পেলেও ১৭টি ব্যাংক এ সেবা চালু করেছে। গত জানুয়ারিতে দৈনিক গড়ে ৮২০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে।
 
শুভঙ্কর সাহা বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু অনিয়মের খবর বেরিয়েছে। কোনো কোনো এজেন্ট শতাধিক ব্যক্তিগত হিসাব খুলে সেবা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে সেবা দিচ্ছে।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এরইমধ্যে পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ১ হাজার মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের দোকান ও হিসাব পরিদর্শন করা হয়েছে। এরপরই এ সেবার নীতিমালার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। মোবাইল ব্যাংকিং একটি সীমিত ব্যাংকিং সেবা। তবে এখন ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) বেড়ে গেছে।  
 
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ বলেন, এ সেবায় অনুমোদন পাওয়া সবাইকে একই নিয়ম মেনে চলতে হয়। তবে শুধু মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় মনোযোগ থাকায় বিকাশ এগিয়ে গেছে। বিদেশি বিনিয়োগও এসেছে বিকাশে। ব্যাংকগুলোর অনেক সেবার মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং একটি, এ কারণে ব্যাংকগুলো পেরে উঠছে না।
 
ডেপুটি গর্ভনর এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংকে ঝুঁকিমুক্ত করতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তাতে গ্রাহক পর্যায়ে ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসের কাজে ও হুন্ডির জন্য মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার হচ্ছে। এটি প্রতিরোধে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, গ্রাহক পর্যায়ের লেনদেন সীমিত করা হলেও ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি (পি২পি), ইউটিলিটি বিল, মার্চেন্ট পেমেন্ট ও বেতন-ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে আগের মতই লেনদেন স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। একটি পক্ষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
 
এসময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিসিপি’র মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আবুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৭/আপডেট ২০৫৪ ঘণ্টা
এসই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।