ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

জুবিলী ব্যাংকের হিসাব বন্ধের আবেদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
জুবিলী ব্যাংকের হিসাব বন্ধের আবেদন

ঢাকা: মুনাফা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে জুবিলী ব্যাংকের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে খোলা হিসাব বন্ধের আবেদন করেছেন তিন শেয়ার হোল্ডার। এরা হলেন, রফিকুল আলম, রিদওয়ানুল বারী মুনীর ও মো. শহীদ উল্লা।

ব্যাংকটির ৪ লাখ শেয়ারের মধ্যে রফিকুল আলম ও মো. শহীদ উল্লার শেয়ারের পরিমাণ ১০ হাজার করে এবং রিদওয়ানুল বারী মুনীরের রয়েছে ৮ হাজার শেয়ার।

১৯৮২ সালের ১৫ এপ্রিল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করা জুবিলী ব্যাংক ১৯৮৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্বর্ণ বন্ধকির বিপরীতে ব্যবসা পরিচালনার সীমাবদ্ধতা রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স পায়।

ব্যাংকটিকে সোনা বন্ধক নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কুটির শিল্প ও চাষিদের সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আবেদনে বলা হয়েছে, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস’র বৈধ রেজিস্টার্ড ও  সার্টিফাইড মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস ছাড়াই অবৈধভাবে জুবিলী ব্যাংকের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করা হচ্ছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুন্সি বিপ্লব ইসলাম ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুয়া একটি মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস কপি জমা দিয়ে হিসাব পরিচালনা করছে।

প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস অনুমোদন বা মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস সার্টিফাইড করার কোনো অর্থরিটি নয়। শুধু জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস’র বৈধ রেজিস্টার্ডই মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস সার্টিফাইড করার কর্তৃপক্ষ।
 
সার্টিফাইড মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস ছাড়া জুবিলী ব্যাংক লিমিটেডের হিসাব পরিচালনা করায় সাধারণ শেয়ার হোল্ডাররা ব্যাংকের মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই সার্টিফাইড মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস জমা না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের হিসাব বন্ধ রাখার আবেদন করা হয়েছে।
 
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জুবিলী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুন্সি বিপ্লব ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ওই তিনজন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমি তাদের নামে উচ্চ আদালতে মামলা করেছি।
 
যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া ছাড়া কিছু বলতে পারবো না।

জুবিলী ব্যাংকের নামে কুষ্টিয়ার খোকসায় সোনালী ব্যাংকে একটি চলতি ও একটি সঞ্চয়ী হিসাব, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ঢাকার বিজয়নগর শাখায় একটি ও আদর্শ সমবায় ব্যাংকের স্টক একচেঞ্জ ভবনে একটি হিসাব রয়েছে। লেনদেন বন্ধের আবেদন করা হয়েছে এসব ব্যাংকের শাখাগুলোতেও।
 
জানতে চাইলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, তিন শেয়ার হোল্ডারের আবেদন যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।