ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

তিন বছরে সীমান্ত ব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮
তিন বছরে সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান

ঢাকা: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’র মালিকানাধীন সীমান্ত ব্যাংক তিন বছরে পর্দাপণ করেছে। ‘সীমাহীন আস্থা’- স্লোগানে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাণ্যিজিক ব্যাংক হিসেবে ব্যাংকটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিন বছরে পর্দাপণ এবং দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শনিবার (০১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সীমান্ত স্কয়ারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এতে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুখলেসুর রহমান।

 

এসময় তিনি বলেন, দুই বছরে ২৫ হাজার গ্রাহকের ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬শ’ কোটি টাকা। একই সময়ে ঋণ বিতরণ করেছে ৪৫০ কোটি টাকা। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ব্যাংকটির এখনো এক পয়সাও খেলাপি হয়নি।  

দেড় শতাধিক কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরুর পর দুই বছরে ব্যাংকটির দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৩টি শাখা খোলা হয়েছে। এরমধ্যে শহরে শাখা ৯টি, গ্রামে ৪টি। দু’টি প্রত্যন্ত অঞ্চলে। চলতি বছর আরও তিনটি শাখা খোলা হবে গ্রামেই। যাত্রা শুরুর প্রথম বছর থেকে মুনাফা করে আসছে ব্যাংকটি।  
 
মুখলেসুর রহমান বলেন, আমরা আগ্রাসী ব্যাংকিং করছি না, উন্নয়নশীল ব্যাংকিং করছি। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য গ্রামীণ অর্থনীতিতে অবদান রাখা। কারণ গ্রামীণ অর্থনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। সীমান্ত ব্যাংক আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবাকে প্রান্তিক সুবিধাবঞ্চিত জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গত দুই বছরে ব্যাংকিং খাত নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। কাজ করতে গেলে সমালোচনা হতেই পারে। এসব কিছুর মধ্যেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।  

সীমান্ত ব্যাংক বিজিবি’র বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যসহ দেশের আপামর জনসাধারণের অর্থনৈতিক কল্যাণে কাজ করছে।

সীমান্ত ব্যাংক, বর্ডার এলাকায় তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম বিস্তৃত করছে। সীমান্তের জনগণের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় অপরাধ কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকের লভ্যাংশের পুরো অর্থ ব্যয় করা হবে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা, বিজিবি সদস্য ও তাদের পরিবারের নানামুখী কল্যাণে।

এ ব্যাংক থেকে বিজিবি সদস্য কিংবা তাদের পরিবারকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে। থাকবে পেনশন স্কিম, গৃহ নির্মাণ ঋণ, দুরারোগ্য রোগের জন্য চিকিৎসা সহায়তা। তবে এটা শুধুই বিজিবি'র ব্যাংক না, এটি তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক।

এ সময় ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।