ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৫ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯
মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৫ শতাংশ

ঢাকা: বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৫ শতাংশ ধরে ২০১৯ সালের দ্বিতায়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা হতে পারে। যা চলতি বছরের প্রথমার্ধের ঘোষিত মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক দশমিক ৫ শতাংশ কম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান মতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে প্রথম ছয়মাসের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

চলতি বছরের প্রথম ছয়মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ।

যা গত ছয়মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক আশা নিয়ে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে ২০১৯ সালের প্রথম ছয়মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২০ শতাংশ অর্জন করার জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৪ থেকে ১৫ শতাংশই যথেষ্ট। কারণ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ হওয়ার পরও জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।

পাশাপাশি বেসরকারি খাতের এই ঋণ প্রবৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমাতে সহায়তা করবে বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

এদিকে চলতি বছরের ৩০ জুলাই ঘোষিত দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে নগদ জমা সংরক্ষণ হারে (সিআরআর) কোনো পরিবর্তন আনছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের দেওয়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানের সঙ্গে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির তথ্য নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

‘বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বিনিয়োগের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারে না। কারণ বিদ্যুতের অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দুর্নীতি নতুন বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করছে। ’

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসা করার সূচক তালিকায় বাংলাদেশের বেসরকারিখাতের প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে। বিনিয়োগের জন্য আমাদের এসব বাধা দূর করা উচিৎ। না হলে মুদ্রানীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।  

সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ঋণ বিতরণকারী ও ব্যবসায়ীরা যৌথ ভূমিকা পালন করতে পারলেই এই মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

‘অনেক ব্যাংক অতিরিক্ত খেলাপি ঋণের কারণে তারল্য সংকটে ভুগছে। তারা ঋণ বিতরণের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। বন্ধ করে রেখেছে মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের রাস্তাটিও। ’

তিনি বলেন, দেশের এ রকম আর্থিক পরিস্থিতি দেখে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। সুতরাং চাহিদা এবং সরবরাহকারী উভয়ই আস্থার সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যা মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে প্রভাব পড়বে।

এই অবস্থার উন্নতি না হলে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে একই সমস্যার সম্মুখীন হবে বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।