ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ব্যাংকিং

বছরের ৩৫ দিনেই সরকারের ব্যাংক ঋণ লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
বছরের ৩৫ দিনেই সরকারের ব্যাংক ঋণ লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক লোগো

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩৫ দিনেই সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক ঋণ নিয়েছে। বিগত অর্থ বছরের শেষের কয়েক মাসে রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ায় বছরের শুরুর দিকেই বিপুল পরিমাণ ঋণ নিতে হলো সরকারকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের কাছে ব্যাংকগুলোর পাওনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। জুন শেষে ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হওয়ায় সরকার অর্থের চাহিদা মেটাতে ব্যাংক ঋণের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এ কারণে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৩৫ দিনে সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে ২৩ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। সরকারের নেওয়া এই ঋণের পরিমাণ গত অর্থবছরজুড়ে নেওয়া ঋণের প্রায় সমান এবং চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেক ২৬ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। চলতি অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা বেশি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে আগের অর্থবছরের দায় পরিশোধের পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। সরকারের এই ঋণের উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যয় হয়েছে, মেগা উন্নয়ন প্রকল্প পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলের মতো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে।

আর ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে গত অর্থবছরের শেষ কয়েক মাসে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

সরকার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই লাখ ২৩ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। একই সময়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল দুই লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা।

ব্যাংকিং খাত থেকে এভাবে সরকারের ঋণ গ্রহণ অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকট তৈরি হতে পারে।

অপরদিকে, কড়াকড়ির কারণে সাম্প্রতিক কয়েক মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাওয়ার কারণেও সরকারের ব্যাংক ঋণ বেড়েছে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন মাসে তিন হাজার ২০৮ কোটির টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। আগের মাসের চেয়ে ৫০ কোটি টাকা কম। মে মাসে বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ২৫৮ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঋণ নেবে, আবার পরিশোধ করবে। এটাই নিয়ম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এসই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।