ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ব্যাংকিং

ক্ষুদ্র ঋণের সার্ভিস চার্জ কমছে!

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯
ক্ষুদ্র ঋণের সার্ভিস চার্জ কমছে! ক্ষুদ্র ঋণ

ঢাকা: দরিদ্র ঋণ গ্রহিতাদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউটগুলোর বিদ্যমান ঋণের সার্ভিস চার্জ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা সম্প্রতি অর্থবিভাগে পাঠিয়েছে।

সার্ভিস চার্জ কমানোর জন্য পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এমএম আকাশকে আহ্বায়ক করে ঋণ বিতরণে অতিরিক্ত খরচ বিশ্লেষণে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি আট সদস্যের ওই কমিটিতেও রয়েছেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের সার্ভিস চার্জ কমানোর একটি প্রস্তাব বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠ‍ানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কমিটি বিদ্যমান সার্ভিস চার্জ ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। দুই বছর পর আবার প্রস্তাবিত সার্ভিস চার্জ পর্যালোচনা করার প্রস্তাবও দিয়েছে কমিটি।

২৫০ মিলিয়ন (২৫ কোটি) টাকার কম ঋণ বিতরণকারী মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউটকে ছোট এবং ২৫০ মিলিয়ন টাকার বেশি ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানকে বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বড় এনজিওগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় তাদের সদস্য ও পরিবারের জন্য ১৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অর্থরিটি (এমআরএ) এক্সিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারম্যান অমলেন্দ মুখার্জি বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের সার্ভিস চার্জের বিষয়টি সরকারের বিবেচনা রয়েছে। তবে সার্ভিস চার্জ কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষুদ্র ঋণের সুদের হার অনেক বেশি। অর্থনীতির উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সুদের হার কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক এমএম আকাশ বলেন, আমরা অনেক আগেই ক্ষুদ্র ঋণের সার্ভিস চার্জ কমানোর প্রস্তাব দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের বিদ্যমান চার্জ দরিদ্র ঋণ গ্রহিতাদের জন্য অসহনীয়। ক্ষুদ্র ঋণের টাকা যেহেতু সাপ্তাহিক কিস্তিতে আদায় করা হয়, তাই আমরা সুদ কমানোর প্রস্তাব করেছি।

চলতি বছরে জুন শেষে দেশে কার্যরত এনজিওর সংখ্যা ৭২৪টি। প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে ৬৮টি।

মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অর্থরিটির ২০১৬ সালের বার্ষিক (এমআরএ) প্রতিবেদন মতে, দেশে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতার সংখ্যা প্রায় ৩০ মিলিয়ন (৩ কোটি)।

২০১৭ সালের জুন শেষে এসব প্রতিষ্ঠান ১০৪৫ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন টাকার ঋণ বিতরণ করেছে।

ক্ষুদ্র ঋণের টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য সরকার ২০০৬ সালে মাইক্রো ফাইন্যান্স রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) প্রতিষ্ঠা করেছে। কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম সুপারভিশন ও পর্যবেক্ষণ করে এমআরএ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।