ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ব্যাংকিং

এনআরবিসি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২১
এনআরবিসি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন

ঢাকা: এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেডের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ওই ব্যাংক থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।



এতে বলা হয়, করোনার সংক্রমণের কারণে এ বছর স্বশরীরে  এবং ভার্চ্যুয়ালি সম্মেলনে অংশ নেন ব্যাংক পরিচালক ও কর্মকর্তারা।  

ব্যবসায়িক সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘বিল্ডিং মার্কেট শেয়ার থ্রু ইনোভেশন অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স’।  

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল।  

এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. মুখতার হোসেন।  

সম্মেলনে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সকল পরিচালক, বিভিন্ন কমিটির ও বিভাগের প্রধানসহ শাখা ও উপশাখার প্রধানরা অংশ নেন।

ব্যাংকের গত বছরের কার্যক্রম মূল্যায়ন ও নতুন বছরে পথচলার নির্দেশনা প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, গতবছর করোনার সংক্রমণ মোকাবিলার পাশাপাশির ঘুরে দাঁড়ানো ও টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করে একদিকে মানবিক ব্যাংকের মর্যাদা পেয়েছি অন্যদিকে ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য সব মানুষের ব্যাংকে পরিণত হওয়া। এজন্য আমরা রিটেইল, সিএমএসএমইতে মূল অগ্রাধিকার দিচ্ছি। জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আইপিও সাবস্ক্রিপশন শুরু হচ্ছে ৩ ফেব্রুয়ারি।

তিনি বলেন, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের পাশে গিয়ে তাদের সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করা। ইউনিয়ন এবং গ্রাম পর্যায়ের ব্যাংকিং সেবা পৌঁছাতে আর্থিক প্রযুক্তির (ফিনটেক) ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা, ঋণ আবেদন এবং বিতরণ সবকিছুই হবে নিমিষেই। আর ব্যাংকের ভিতকে শক্তিশালী রাখতে সুশাসন ও কমপ্লায়ন্সকে  সুচারুভাবে পরিপালন নিশ্চিত করা।

সম্মেলনে জানানো হয়, বিদায়ী ২০২০ সালে করোনার সংক্রমণের মধ্যেও ব্যাংকের সব সূচকে উন্নতি হয়েছে। ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ ৭ হাজার ৫১২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর  শেষে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৮০  কোটি টাকা। ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। যা ২০১৯ সালে ছিল ৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। সম্মেলনে ২০২১ সালের ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

২০১৩ সালের এপ্রিলে যাত্রা শুরু করা ব্যাংকটির শাখা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩। পাশাপাশি রয়েছে বিআরটিএ, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসগুলোসহ সারাদেশে ব্যাংকটির উপশাখা রয়েছে ৪০০টি, এটি যেকোনো ব্যাংকের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। ঘরে বসে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যাচ্ছে ‘এনআরবিসি প্লানেট’ অ্যাপের মাধ্যমে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।