ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

জামিনে মুক্ত ফখরুল

স্পেশাল ও স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
জামিনে মুক্ত ফখরুল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন তিনি।

কারাগারের জেলার নেছার আলম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

কারাগারে যাওয়ার সোয়া চার ঘণ্টার মধ্যেই জামিনে মুক্ত হন ফখরুল। আর তাকে বিএনপির মহাসচিব মনোনীত করার দু’ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে যেতে হয়েছিল তাকে।

বুধবার (৩০ মার্চ) বেলা পৌনে একটায় পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলার মধ্যে দু’টিতে (নম্বর ৫/১-২০১৫ ও ৭/১-২০১৫) জামিন নামঞ্জুর করে ফখরুলকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম নবীর আদালত। অন্য মামলাটিতে (নম্বর ৪/১-২০১৫) জামিন পান তিনি। দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

এর পরই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বাকি দুই মামলায়ও জামিন পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান মির্জা ফখরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। শুনানি শেষে এ আবেদন মঞ্জুর করেন একই আদালত।

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে সকালে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল।
 
এদিকে বেলা সাড়ে এগারটায় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভারমুক্ত করে মির্জা ফখরুলকে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব মনোনীত করেছেন বলে জানান রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। রিজভীও একই সঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হয়েছেন।    

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মির্জা ফখরুলকে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের সময় পল্টন থানার নাশকতার ওই তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে রুল জারি করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলে গেলে আপিল বিভাগ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন এবং জামিনের মেয়াদ শেষে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। এছাড়াও হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন।
 
হাইকোর্ট গত বছরের ২৪ নভেম্বর রুল নিষ্পত্তি করে ওই তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে তিন মাসের জামিন দেন।
 
তবে ফখরুলের আইনজীবীদের দাবি, রুল নিষ্পত্তির মাধ্যমে সাধারণত মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন হয়। কিন্তু এখানে মাত্র তিন মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে। এ কারণে হাইকোর্টের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মির্জা ফখরুল গত ০৭ জানুয়ারি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।


গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এ আবেদনের শুনানি চলাকালে সিলেটে বিচার বিভাগ নিয়ে মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেছেন বলে নজরে এলে তার কাছে ব্যাখ্যা চান পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ।

২৯ ফেব্রুয়ারি ফখরুলের ব্যাখ্যাসহ জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে ১৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
এমএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।