রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে বীর উত্তম শহীদ জিয়া শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ।
গয়েশ্বর রায় বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে বিএনপির নিবন্ধন নাকি বাতিল হয়ে যাবে। আমাদের কথা হচ্ছে জনগণের জন্য কিছু করতে না পারলে নিবন্ধন দিয়ে কী করবো?
সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির নেতারা বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি নিবন্ধন বাতিলের ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে দলটি নির্বাচনে যাবে না বলে জানাতে থাকলে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এ সতর্কতা দেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকার দলের নেতারা একবার বলেন খলেদা জিয়াকে জেলে পাঠাবেন। আবার বলেন বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। তারা এভাবে আর কতো ভয় দেখাবেন?
এক প্রজন্ম ত্যাগ করে আরেক প্রজন্ম ভোগ করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন ত্যাগ করবো, কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করবো, তবু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবো না। যারা আমাদের জন্য রক্ত দিয়েছেন তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারবো না। কোনো আপস নয়, শুধু সংগ্রাম। সেজন্য বলছি কোনো জুজুর ভয় দেখাবেন না। বরং জনগণের মন থেকে আপনারা প্রত্যাখ্যাত এবং সেটি প্রমাণিত।
নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ‘নৌকা ডুবে যাবে’ হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন ফেয়ার করলে নৌকা তো ডুবে যাবে। নৌকা না ডুবলেও পানির জোয়ারে তলা ফেটে যাবে। এই ফাটা নৌকা নিয়ে জোর গলায় কিছু বলতে পারছে না।
তিনি বলেন, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে না সেখানেই অগণতান্ত্রিক শক্তি বাড়বে। দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসী বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য দায়ী রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা। মানুষের কথা বলার অধিকার না দিলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে।
সংগঠনের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ ও খালেদা ইয়াসমীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭
এমএ/এইচএ/