সোমবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। কুষ্টিয়ায় আদালত চত্বরে মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, মাহমুদুর রহমানের ওপর হত্যার উদ্দেশে যে হামলা হয়েছে আমি গতকাল তার নিন্দা জানিয়েছি। গতকালই আমি বলেছি এই হামলা পূর্ব পরিকল্পিত। ঘটনার সময় আমি একটা সভায় ছিলাম। তখনই জানতে পারি হামলা হয়েছে। বুঝতে পারলাম সেখানে (কুষ্টিয়া) পুলিশের দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি আওয়ামী লীগের চেয়েও একজন ‘ভয়ংকর সন্ত্রাসী’।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার আগে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করি, তিনি আমাকে আস্বস্ত করে বলেছিলেন আমি দেখছি, ব্যবস্থা করছি সেফলি তার বের হয়ে যাওয়ার। তারপরও আমাদের দুর্ভাগ্য। পুলিশের উপস্থিতিতে যেভাবে হত্যার উদ্দেশে তার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে, আহত করা হয়েছে এটা ইদানিংকালের নজিরবিহীন ঘটনা।
গত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগ মুক্তচিন্তার ওপর আঘাত করে চলেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমকর্মী, যারা স্বাধীন চিন্তা করেন তাদের ওপর আক্রমণ করছে, ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। কোনো রকম স্বাধীন মত প্রকাশের ঘোর বিরোধী তারা। এরা ছদ্মবেশে ভিন্ন পরিচয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে পূর্বশর্ত মুক্ত গণমাধ্যম ধ্বংস করতে চায়।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করা হয়েছে, আজকে তারা এই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। তারা পরিকল্পিতভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধ্বংস করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি আবারও মাহমুদুর রহমানের ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, ধিক্কার জানাচ্ছি। যারা এর জন্য দায়ী তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজ-একাংশ) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
এমএইচ/টিএ