মঙ্গলবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আর কোনো উপায় নেই।
‘জাতীয় ঐক্যের নামে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত হচ্ছে’ ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, আকস্মিকভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের আওয়ামী নেতার বক্তব্য অশুভ চক্রান্তের ইঙ্গিতবাহী। আবহমান বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্টকরে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে নেমে পড়েছেন ওবায়দুল কাদেররা। তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্র সমাজের স্থিতিকে ভেঙে ফেলতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক লাখ মানুষকে হত্যা করা হব’ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের এ বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, এ তথ্য কোনো পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে তিনি সংগ্রহ করেছেন? রিজভী জানতে চান, এ তথ্যের উৎস কি হাসানুল হক ইনু, না সজিব ওয়াজেদ জয় ?
এক লাখ লোক মারা যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কেন তোফায়েল আহমেদ? আপনাদের কোনো অপকর্মের কারণে এ আশঙ্কা করছেন? বিএনপিতো এর আগে অনেকবার ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু কোথাওতো রক্তক্ষরণের কোনো দৃষ্টান্ত নেই।
দেশব্যাপী আবারও নতুন করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে অথবা নিজেরাই নাশকতার মতো ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দিয়ে নির্বিচারে গ্রেফতার করছে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে প্রায় ৪ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সরকার আতঙ্কে ভুগছে বলেই এ গ্রেফতার শুরু করেছে। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক চিত্র নায়ক হেলাল খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ