জানা যায়, শনিবার জেলার সাত থানায় ৭টি মামলা এবং পরদিন রোববার আরও দু’টি মামলা এবং মঙ্গলবার একটি মামলা করা হয়। এগুলো সবই নাশকতার মামলা।
বধুবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম মেহেদী হাসান বাংলানিউজেক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নাশকতার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেওয়ার গোপন খবর ছিলো। এসব অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে। এরপর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এরমধ্যে কুষ্টিয়া মডেল থানার মামলায় ২১ আসামি। মিরপুর থানায় ২৭ জন। দৌলতপুর থানায় দুই মামলায় ৫৫ জন। খোকসা থানায় ৪২ জন। কুমারখালী থানায় দুই মামলায় ৭৭ জন এবং ইবি থানার দুই মামলায় আসামি ৯০ জন। আসামিরা সবাই জেলা ও স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী।
আসামি তালিকায় নাম রয়েছে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম উল-হাসান অপু, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল হাকিম মাসুদ, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর থানার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর মহিউদ্দীন চৌধুরী মিলন, মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, খোকসা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আহমেদ রাজু, কুমারখালী থানা ছাত্রদলের সভাপতি জাকারিয়া মিলন, খোকসা পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান উজ্জ্বল ও জেলা কৃষকদল নেতা দুলাল।
এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদেরও আসামি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বাংলানিউজকে বলেন, ১০টি নাশকতা মামলায় চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। জেলাজুড়ে গণগ্রেফতার চলছে। এভাবে মামলা ও গণগ্রেফতার করে বিএনপিকে দমানো যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
জিপি