শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বহুদিন ধরে বোঝাপড়া রয়েছে। এই দলটি সবসময় প্রি-গণতন্ত্রের কথা বলে আসছে। কোনোদিন গণতন্ত্র বিশ্বাস করেনি। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে কোনো ভূমিকা রাখেনি। আওয়ামী লীগ ১৯৭২ সালে ক্ষমতায় আসে। গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়ে ১৯৭৫ সালে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে। এরা জনগণের সামনে মিডিয়ার সামনে বড় বড় কথা বলার চেষ্টা করে। বিচার বিভাগ অবমাননার কথা বলে, তাদের কথা শুনে আমার মনে হয় ভূতের মুখে রাম নাম শুনছি।
দেশে বিচার বিভাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে কে কতটা সাহস রাখবেন তা আমি জানি না। সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা যখন বলেন, সব ঠিক আছে, তিনি (খালেদা জিয়া) সুস্থ আছেন, তখন বিএসএমএমইউ উপাচার্য এবং ডাক্তারদের কয়টা মাথা আছে যে বলবেন তিনি খারাপ আছেন। গতকাল (৫ ডিসেম্বর) সরকার আদালত অবমাননা করেছে।
তিনি বলেন, গতকাল (৫ ডিসেম্বর) বিএসএমএমইউ উপাচার্য আদালত অবমাননা করেছেন। কারণ, ৫ তারিখের মধ্যে দু’টি রিপোর্ট আদালত চেয়েছিলেন। কোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন, এই রিপোর্ট ডাক্তারদের সইসহ হাজির করতে হবে। কিন্তু তারা তা করেননি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব সবসময় সরকারের স্বার্থরক্ষার চেষ্টা করেন। এমনভাবে চেষ্টা করেন যে সরকার না, দলীয় স্বার্থ রক্ষা হয়। এতকিছুর পরও আমরা হতাশ হয়েছি, সুপ্রিম কোর্টের বিচার বিভাগ এই বিষয়টা লক্ষ্য করেননি এবং এই বিষয়ে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেননি।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। ডাক্তাররা বলছেন, বিলম্ব হলে তাকে সুস্থ অবস্থায় আর পাওয়া যাবে না। এমনকি প্রাণহানিও হতে পারে। আমরা বলছি, সবকিছু বাদ দেন। অন্তত মানবিক কারণে মুক্তি দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে সংগ্রাম করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে। আমাদেরও সংগ্রাম করতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে হবে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির একাংশের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এমএমআই/একে