ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিএনপি

বাংলাদেশ এখন করোনার ‘ইন্টারন্যাশনাল ডাম্পিং স্টেশন’: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
বাংলাদেশ এখন করোনার ‘ইন্টারন্যাশনাল ডাম্পিং স্টেশন’: রিজভী

ঢাকা: বাংলাদেশ এখন করোনা ভাইরাসের ইন্টারন্যাশনাল ডাম্পিং স্টেশন বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এয়ারপোর্ট এখনো খোলা। দুমাস ধরে ইতালি ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আক্রান্ত রোগীরা ফিরে সারাদেশে ছড়িয়ে গেছে। সরকারের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। হোম কোয়ারেন্টিন নামে মাত্র। বেশিরভাগ লোকই আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াচ্ছে, পিকনিক করছে, হাট বাজারে ঘুরছে।

শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিদেশ থেকে আগতরা উৎসব করে গোটা দেশে ছড়াচ্ছে ভাইরাস।

সরকারি হিসাবে ২১ জানুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ৫৫ দিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ ইতালিসহ ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ৬ লাখ ২৪ হাজার ৭৪৩ জন। দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর দিয়ে তারা এসেছেন। এসব বন্দরে তাদের স্বাস্থ্যগত স্ক্যানিং করা হয়েছে বলে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনষ্টিটিউটের (আইইডিসিআর) দাবি করলেও থার্মাল স্ক্যানার কম থাকায় অনেকে কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই নিজ নিজ বাড়িতে গেছেন। অথচ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বার বার সতর্ক করে বলছেন, দেশে প্রত্যাগত প্রবাসীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমণের উচ্চঝুঁকি রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সর্বোচ্চ সতর্কতার পরও বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। এখন প্রবাসীদের ধরতে শুরু হয়েছে অভিযান। কথা হলো আগে থেকে পরিকল্পিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিয়ে এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে কোয়ারেন্টিনে নিতে হিমশিম খাচ্ছে।

‘এই মহাবিপদের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জীবন ও স্বাস্থ্য নিয়ে। অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে জাতীয় দুর্যোগে সবাই এক হয়ে কাজ করা জরুরি। ’

রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কালোবাজারি, মজুদদারি ও প্যানিক সেল চলছে বেপরোয়াভাবে। সরকার বলছে ব্যবস্থা নেবে, কিন্তু কবে নেবে? জনগণকে মুমূর্ষু করে? এই সরকার সব দিক দিয়ে ব্যর্থ। অবৈধ ক্ষমতার দম্ভে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা- ১০ আসনে জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিএনপি নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের গ্রেফতার করেছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন- হাজারীবাগ থানা বিএনপির সহ সভাপতি- হেদায়েত উল্লাহ হাজারীবাগ থানা যুবদলের সভাপতি- আবুল খায়ের লিটন,  থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক- মো. সুমন, যুবদল সদস্য মো. সেলিম, সাইদুল ইসলাম শিশির, আমির হোসেন লিটন, ওয়ার্ড যুবদল নেতা- মো. শিমুল, বিএনপি সমর্থক- জাকির, ধানের শীষের অ্যাজেন্ট- অ্যাডভোকেট মাসুম।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এমএইচ/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।