নীলফামারী: কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের নীলফামারীর জনপদ। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকে প্রচণ্ড কুয়াশার মধ্যে শ্রমজীবী মানুষরা বেকায়দায় পড়েছেন।
চলতি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি কুয়াশা আজ সকালে দেখা যায়। জনপদে বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। সকালে ঘাসের ডগায় জমছে শিশিরবিন্দু। সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাগে শীত শীত।
খেজুরগাছ থেকে রস নামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাছিরা। গভীর রাতে কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে এ অঞ্চলের পথঘাট। ক্রমেই শীতের তীব্রতা বাড়ছে। রাতে লেপ, কাঁথা, কম্বল গায়ে জড়ানো শুরু হয়েছে মাসখানেক আগে থেকেই। এরই মধ্যে শহর এবং গ্রামের লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে বেচাকেনা বেড়েছে। দিনরাত কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ধুনকাররা। নিম্নআয়ের লোকজন পুরাতন তোশক নিয়ে আসছেন ধুনকারদের কাছে। শহরের কাপড় ব্যবসায়ীরা গরম কাপড়ের মজুদ গড়ে তুলেছেন।
অপরদিকে সৈয়দপুর শহরে জ্যাকেট তৈরির প্রায় ৫শ কারখানায় চলছে পুরোদমে কাজ। পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীরাও আমদানি শুরু করেছেন।
হিমালয়ের পাদদেশের এলাকা হওয়ায় বরাবরের মতো এবারও আগেভাগে শীত নেমেছে নীলফামারীতে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূলের মানুষ। পুরানো কিংবা জরাজীর্ণ কাঁথা গায়ে দিয়ে রাত পার করছেন অনেকে। শীত জেঁকে বসায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ। প্রতিদিনই জ্বর, কাশি, সর্দি অথবা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
এএটি